বিশেষ প্রতিনিধি,মাগুরাবার্তা
মাগুরা সদর উপজেলার লক্ষীকান্দর এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে থেকে  ভরতচন্দ্র (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে অপহরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার বিকালে এ অপহরনের ঘটনা ঘটে । অপহৃত ব্যক্তি উক্ত গ্রামের গোপাল বিশ্বাস এর ছেলে। সে মাগুরা ঢাকা রোড এলাকায় মিজান এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী হিসাবে  কাজ করতেন।

ভরতচন্দ্রের স্ত্রী মুক্তার জানান, আমার স্বামীর সাথে বাড়ির অদূরে কিছু কিনতে দোকানে যাই।কেনা  শেষে দুজনে দোকান থেকে বের হলে একটি মাইক্রোবাসসহ দুজন লোক আমাদের পিছু নেয়। দোকান থেকে হেটে বাড়ির সামনে এলেই চার পাঁচজন মাইক্রো থেকে নেমে আমার স্বামীকে জোর করে ধরে গাড়িতে উঠাতে চায়। তখন আমি তাদের সাথে ধস্তাধস্তি করলে আমাকে ঢাক্কা দিয়ে রাস্তায ফেলে তারা গাড়ি দ্রুত গতিতে চালিয়ে চলে যায়।  পাশেই মাগুরা-ঢাকা মহাসড়ক তাই দূবৃত্তরা মাগুরা শহরের দিকে বাধা দেয়ার আগেই আমার স্বামীকে নিয়ে পালিয়ে যায় । লোকজন জড়ো হলেও তাৎক্ষনিক আমরা কিছু করতে পারিনি।

অপহৃত ভরতচন্দ্রের ছোট  ভাই বিদ্যুত বিশ্বাস বলেন,আমি ঘটনা শোনামাত্রই  মটরসাইকেল নিয়ে মাইক্রোবাসের পিছু নেই।মাগুরা শহরের ঢাকা রোড এলাকায় যানজটে মাইক্রোবাসটি আটকে পড়ে,তখন আমি তাদের থামিয়ে আমার দাদাকে বের করতে বললে তারা বলে “ গাড়িতে তোর  দাদা নেই” । ভরতচন্দ্রের বাবা গোপাল বিশ্বাস বলেন,৫ বছর পূর্বে আমার একমাত্র মেয়ে খুন হয় তার শ্বসুরবাড়ি কালিগন্জের কালারবাজার এলাকায়। এ নিয়ে মামলা চলছে। ছেলে অপহরনের পর থানায় গেলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ট্রাকিং করে নাকি কালারবাজার শেষ গন্তব্য দেখিয়েছে। এখন আমি আমার ছেলেকে সুস্থ্যভাবে ফেরত চাই।

মেয়ে খুন হওয়া মামলার বিবাদী তার শ্বসুরবাড়ির লোকজনও এ অপহরন ঘটাতে পারে বলে গোপাল বিশ্বাস সহ অপহৃত ভরতচন্দ্রের পরিবার ও স্বজনেরা সন্দেহ করছেন।

 মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন,সোমবার এ বিষয়ে সাধারন ডায়েরী করার পর আমরা অপহৃত ব্যক্তির মোবাইল নাম্বার ট্রাকিং করি। তখন কালিগন্জ কালারবাজার দেখালেও আজ সকালে লোকেশন দেখিয়েছে লক্ষীকান্ডের পাশেই বেলনগরে। বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 মাগুরা ০৪আগস্ট২০