বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তা
মাগুরায় করোনা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে আজ শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেছেন বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর  ৫৫ আর্টিলারী ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আইকেএম মোস্তাসিলুল বাকি। মতবিনিময়ে নিরাপদ দূরত্ব মেনে বিভিন্ন দায়িত্বশীল বিভাগের ১১ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
পরামর্শমূলক এ মতবিনিময়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বাকিসহ বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, মেজর রাজু হোসেন, পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রিজোয়ান, সিভিল সার্জন ডা. প্রদীপ কুমার সাহা, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাহবুবুর রহমান,  ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. স্বপন কুমার কুন্ডু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়াান।
মতবিনিময়ে  করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হাটবাজারের কেনাবেচা নির্দিষ্ট সময় বেধে দেয়া, সাধারণ হাসপাতালের বাইরে করোনা রোগীদের জন্য পৃথক আইসোলেশন সমৃদ্ধ চিকিৎসাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়ে যতদ্রুত সম্ভব প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত রাখা, ত্রাণ বিতরনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ নানা সুপারিশ উঠে আসে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বাকি বলেন ‘সাধারণ রোগীরা যেন হাসপাতালে যেতে কিংবা থাকতে আতংকিত না হয় সে জন্য প্রতিটি জেলা উপজেলায় করোনা রোগীদের চিকিৎসায় পৃথক ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। এছাড়া করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগসহ সাধারন মানুষ মাস্কসহ যেসব উপকরণ ব্যবহৃত হচ্ছে তার মান ও উপযোগিতা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা জরুরী।  পাশাপাশি গুজবসহ নানা অপপ্রচার প্রতিরোধে সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। সবাই একাত্ব হলে করোনা যুদ্ধে আমরা অবশ্যই জয়ি হবো’।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বাকি সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে করোনা প্রতিরোধে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরে তিনি মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আইসোলেশন বিভাগ ও মহিলা কলেজ এলাকার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ঘুরে দেখেন। পাশাপশি মাগুরা হাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে সেনাবাহিনীর ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
মতবিনিময় সভায় মাগুরার জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম বলেন ‘মাগুরায় করোনা প্রতিরোধে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সব স্তরের সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা যৌথভাবে কাজ করছে। সরকারি ত্রাণ সুবিধার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য দু’একদিনের মধ্যে পরিবার প্রতি ২০ কেজি হিসেবে প্রতিমাসে ৬ হাজার নিম্ম আয়ের অসহায় দরিদ্র মানুষকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোলা বাজারে প্রতি কেজি ১০ টাকা দরের চাল দেয়া হবে।’
সিভিল সার্জন প্রদীপ কুমার সাহা জানান, করোনা মোকাবেলায় এন-৯৫  মাক্সের স্বল্পতা ছাড়া প্রয়োজনীয় উপকরণ স্বাস্থ্য বিভাগের আছে। শনিবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৩৯৭ জনের মধ্যে ৩৪৫ জন নির্ধারিত সময় পেরিয়ে কোয়ারেন্টাইন মুক্ত হয়েছে।

রূপক আইচ/মাগুরা/ ৪ এপ্রিল ২০২০