অনলাইন ডেস্ক, মাগুরাবার্তা
কলকাতায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘সেকেন্ড সাউথ এশিয়ান শর্ট ফ্লিম ফেস্টিভ্যাল, ২০১৯’। বাংলাদেশ থেকে এ উৎসবে অফিসিয়াল মনোনয়ন লাভ করেছে মাগুরার শালিখার সন্তান কবি ও সাংবাদিক বীরেন মুখার্জী নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ঘোর- দ্য ইনটেন্স অব লাইফ’। স্বাধীনতা পরবর্তী ক্ষতবিক্ষত বাংলাদেশের একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার করুণ জীবনযাপন ও দাম্পত্য রসায়ন উপজীব্য করে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে। পাশাপাশি ঘোরের গল্পে উঠে এসেছে বাঙালি ঐতিহ্য, মিথ, ব্রিটিশ শাসনামলে নীল চাষের বর্বরতা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি প্রসঙ্গ। ফেডারেশন অব ফ্লিম সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার পক্ষে আয়োজক কমিটির কো-অর্ডিনেটর প্রেমেন্দ্র মজুমদার এ সংবাদ নিশ্চিত করেছেন বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন ‘ঘোর’-এর কো-অর্ডিনেটর এসডি প্রিন্স।

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ‘ঘোর- দ্য ইনটেন্স অব লাইফ’-এর চিত্রায়ন হয় ঢাকার অদূরে গোলাপগ্রাম খ্যাত সাভারের সাদুল্লাপুর গ্রামের বিভিন্ন স্থানে। তরুণ নির্মাতা হিসেবে কবি বীরেন মুখার্জীও এ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত হন। ‘ঘোর’ প্রসঙ্গে নব্বইয়ের দশকের অন্যতম এই কবি-নির্মাতা জানান, প্রথাগত চিন্তার বাইরে ভিন্নতর কিছু একটা উপহার দিতে ‘ঘোর’ দৃশ্যায়নের পরিকল্পনা মাথায় আসে।

pp18855গল্পটি ১৯৯৭ সালে বাস্তব একটি ঘটনার সূত্রে লেখা হয়েছিল। সে সময় অধুনালুপ্ত ‘আজকের কাগজ’ সাময়িকীতে এটি প্রকাশিত হয়। গল্পটি নিয়ে কয়েকজন নির্মাতা আগ্রহ দেখালেও তিনি কাউকে অনুমতি দেননি। সেই ‘ঘোর’ এখন আন্তর্জাতিক উৎসবে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, মঞ্চের তরুণ শিল্পীরা প্রচুর পরিশ্রম করেছেন ঘোর-এর জন্য। এছাড়া প্রথম কাজ হিসেবে কিছু দুর্বলতা থাকাও অমূলক নয়। ঘোর নির্মাণে এসডি প্রিন্সের সার্বিক সহযোগিতা না পেলে সুন্দর-নির্মাণ কঠিন হয়ে পড়তো উল্লেখ করে তিনি শিল্পী, কলাকুশলী এবং ঘোর নির্মাণে যারা নানানভাবে সহযোগিতা ও উৎসাহ দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

ঘোর-এ অভিনয় করেছেন, রাকিব হোসেন ইভন, উম্মে হাবীবা, তুষার প্রসূন, হিমাশু বর্মন, সুমাইয়া আক্তার নদী, মাস্টার মাহিদসহ সাদুল্লাপুর গ্রামবাসী। সিনেমাটোগ্রাফার ছিলেন রাসেল তুষার এবং প্রধান সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন রায়হান জয়।

মাগুরা/২ মার্চ ১৯