রূপক আইচ, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার তারাউজিয়াল গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারের সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এম. মনিরুজ্জামান। ১৯৭১ এ থাকতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কোয়ার্টারে। ২৫শে মার্চ অপারেশন সার্চ লাইট শুরু হলে পাকিস্থানি বাহিনীর নারকিয় হামলায় প্রাণ হারান তিনি। একই সময় তার ছোট ভাই এ্যাড. নবাব মিয়া, ছেলে আকরামুজ্জামান ও ভাগ্নে মঞ্জুর হোসেন। ওই রাতেই তার বাসার নিচতলায় খুন করা হয় অপর শিক্ষক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতাকে। ৫ম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে তাদের নিয়ে সামান্য কিছু কথা লেখা হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও এই শহীদ বুদ্ধিজীবির স্মৃতির উদ্দেশ্যে তার নিজ গ্রামে পৈত্রিক ভিটায় এমনকি নিজ উপজেলায়ও নেই কোন স্মৃতি চিহ্ন।

মাগুরা থেকে সাইকেল চেপে এ গ্রামে এসে লোকমুখে শুনে এ প্রজন্মের  উৎসুক কিশোর-যুবকরা এখানে এসে হতাশ হয়েছেন। এ টিমের প্রদান মাগুরা সরকারি কলেজ এর রক্তদাতা সংগঠন বাধনের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম জানা- তারা শহীদ মনিরুজ্জামান ও তার পরিবারের বীরত্মগাথা স্থানীয়দের মুখে শুনেছেন। কিন্তু এখানে কোন  নাম ফলক কিংবা কোন স্থাপনা না থাকায় তারা হতাশ হয়েছেন।

এলাকাবাসি জানান- একান্ত নিজ পরিবারে উদ্যোগ নেয়ার মত কেউ না থাকায় শহীদ মনিরুজ্জামানের পৈত্রিক ভিটাটি এখনও ফাঁকাই পড়ে আছে। এলাকার প্রবীন মানুষদের মনে এখনও জ্বল জ্বল করছেন গ্রামের এ সদালাপী কৃতি সন্তানের কথা।মুক্তিযুদ্ধের এ শহীদকে আজও স্মরণ করেন এলাকার প্রবীণরা। আর নবীন প্রজন্ম চায় এলাকার এ কৃতি মানুষটির নামে নিজ গ্রামে একটি লাইব্রেরীসহ দৃশ্যমান কিছু করা হোক।

 এ প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অধ্যাপক খান শফিউল্লাহ জানান- দেশের স্বাধীনতার প্রাক্কালে পাকিস্থানি হায়নাদের হাতে প্রাণ বিসর্জনকারী এই শিক্ষাবিদ ও তার পরিবারের সদস্যদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এলাকায় দৃশ্যমান কিছু থাকা  উচিত। যার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম অধ্যাপক মোঃ মনিরুজ্জামান এর মত মানুষদের সম্পর্কে জানতে পারবেন।

 

মাগুরা/১৪ ডিসেম্বর ১৮