বিশেষ প্রতিনিধি,মাগুরাবার্তা
সামাজিক বনবিভাগ, যশোরের আওতাধীন মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলায় বুনোগাতী ইউনিয়নের সোনাকুড় ব্রীজ হতে ধনবাড়িয়া শ্মশানঘাট পযর্ন্ত ২০১৯-২০২০ আর্থিক সনে পরিচালন ব্যয় খাতের আওতায় বাঁধে ১০,০০০ টি বিভিন্ন প্রজাতির চারা রোপন করে ১০.০ সিডলিং কিলোমিটার বাঁধ বাগান করা হয়েছে। সামাজিক বনায়ন নীতিমালার আলোকে করা হয়েছে এ বাগান। বাগানটিতে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ১২০ জন। ১১০ জন পুরুষ ও ১০ জন মহিলা উপকারভোগী সম্পৃক্ত আছেন। বাগানটিতে প্রায় ১৪ প্রজাতির চারা রোপন করা হয়েছে। আকাশমনি. মেহগনি, জারুল, অর্জুন, সোনালু, বাবলা, জাম, শিমুল, শিশু, নিম, আমলকি, হরিতকি, বহেরা, ইপিল-ইপিল সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা লাগোনো হয়েছে। সামাজিক বনায়ন নীতিমালার আলোকে আর্বতনকাল উত্তীর্ণ হলে বাগানের গাছ বিক্রয়পূর্বক বিক্রয়লব্ধ অর্থের ৫৫% লভ্যাংশ উপকারভোগী সদস্যদের মাঝে সমভাবে বন্টন করা হবে। এছাড়াও ভূমি মালিক সংস্থা ২০%, ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা ৫%, সরকারী রাজস্ব ১০% এবং পূনরায় বনায়নের জন্য ১০% অর্থ বন্টন করা হবে। বাগানটির উপকারভোগীরা স্বত:স্ফূর্তভাবে রোপিত গাছে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষন ও পরিচর্যা ব্যবস্থা জোরদার রেখেছে। সামাজিক বন বিভাগ যশোরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, সহকারী বন সংরক্ষক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ফরেষ্টারগণ ও অন্যান্য বনকর্মচারীদের নিয়মিত পরির্দশন করে রক্ষণাবেক্ষন ও পরিচর্যা ব্যবস্থা অব্যাহত রেখেছে। মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার সোনাকুড় হতে ধনবাড়িয়া শ্মশানঘাট পযর্ন্ত সৃজিত বাঁধ বাগানটি এলাকায় দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। পাখ-পাখালিদের আবাসস্থল সৃষ্টি ফলে পাখিদের কলরবে বাগানটির এলাকা মুখরিত হয়ে থাকে। বন বিভাগ কর্তৃক সবুজায়নের ফলে প্রাকৃতি পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর ও উন্নত হয়েছে। স্থানীয় জন সাধারণ ও জেলার বিভিন্ন এলাকার স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রায় এই বাগানটি দেখতে ছুটে আসে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বন বিভাগের বনায়ন দেখে তারা ভূয়সী প্রশংসা করে। মাগুরা বন বিভাগ কর্তৃক সৃজিত বাগানটি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নতির পাশাপাশি প্রাকৃতি দূর্যোগ ও জলাবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।

মাগুরা /