রূপক আইচ, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মাগুরাসহ অযোগ্য সাংসদদের বাদ দেবেন শেখ হাসিনা-

এই শীরোনামে আনন্দবাজার পত্রিকার বরাত দিয়ে একটি নিউজ গতকাল (রবিবার) মাগুরাবার্তায়  পোষ্ট করার পর প্রায় ২হাজার লাইক শেয়ার হয়েছে। পড়েছেন আরো অনেক বেশী মানুষ । যা প্রমাণ করে নিউজটির বাস্তব সত্যতা। গতকাল থেকে ফোন করে, ম্যাসেঞ্জারে একের পর এক শুভেচ্ছা আসছে। অসছে সত্য প্রকাশের জন্য অভিনন্দন। সবাই নিউজের সত্যতা স্বীকার করলেও একজন বিশেষ ব্যক্তির আত্মীয় পরিচয়ে এক যুবক শুধুমাত্র ইনিয়ে বিনিয়ে বলার চেষ্টা করছেন উনি খুব গণমুখি নেতা। উনি না চাইতেই শেখ হাসিনা তাঁকে নমিনেশন দিয়েছেন !

 
আমি তাকে বললাম আমি তো কারো নাম মেনশন করিনি। আপনারা উদ্বিগ্ন হচ্ছেন কেন?  তিনি বললেন তবুতো বোঝাই যায়।
 
আমি বললাম- বোঝা যদি যায় তবে তো আমার নিউজই ঠিকই আছে।
 
এরপর ফেসবুকে সংস্কৃতি মন্ত্রীর মাগুরা সফর ও তার বক্তব্য নিয়ে আমার একটি ভিডিও রিপোর্ট
শেয়ার করে আমাকে হলুদ সাংবাদিক হিসেবে প্রমাণ করতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন বিএনপি পন্থী একটি পেশাজীবি সংগঠনের এক নেতার ছেলে ওই যুবক ! অথচ তিনি শুনেছেন কিনা জানি না সংস্কৃতি মন্ত্রী তার বক্তব্যে মাগুরার ওই এমপি মহোদয়ের কথা না বলে বলেছেন একজন উদীয়মান নেতার কথা। এলাকাবাসি বলছেন কাত্যায়নী পূজায় সংস্কৃতি মন্ত্রীর মাগুরায় আসার পেছনে তাঁর কোন অবদানই নেই। তিনি শুধুমাত্র মাগুরার এমপি হিসেবে মন্ত্রীর সফর সঙ্গী হয়েছেন !
 
হলুদ সাংবাদিক কাকে বলে আমি জানি না। একজন সাংবাদিক হিসেবে যা দেখেছি, যা দেখছি, যা সত্য মনে হয়েছে। তাই লিখছি।
ডিজিটাল প্রযুক্তির এই যুগে একজন জনপ্রতিনিধি তার এলাকার জনগণের ফোন ধরবেন না, ম্যাসেজের জবাব দেবেন না, ইমেইল দিলে কোন জবাব দেবেন না, জনগণ তাঁর ত্রি সীমানায়ও যেতে পারবে না। সাংবাদিকরা তাকে কোন প্রশ্ন করতে পারবেন না। সাংবাদিকদের ফোন তিনি রিসিভ করবেন না।  শেখ হাসিনা নিশ্চই এজন্য তাকে মনোনয়ন দেননি।  
আর সেকথা লেখা যদি হলুদ সাংবাদিকতা হয়। আমি হলুদ। আমি গাঢ় হলুদ। তার চেয়েও বেশী যদি কোন হলুদ থাকে আমি যেন তাই হই।
সংস্কৃতিক মন্ত্রীর পিছনে দাড়িয়ে থাকা যদি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির জনসম্পৃক্ততার প্রমাণ হয় ! তবে ওই শব্দটির অর্থ নতুন করে লিখতে হবে বলে মনে করেন মাগুরাবাসি।

গতকালের রিপোর্টটি ছিল :

http://magurabarta24.com/8295-2/

মাগুরাসহ অযোগ্য সাংসদদের বাদ দেবেন শেখ হাসিনা

ওয়েব ডেস্ক, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মাগুরাসহ দেশের প্রায় ৫০টি সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যদের কর্মকান্ডে মোটেই খুশি নন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৯সালের নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন অনেকটাই অনিশ্চিত।পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এক সংবাদে এমনটি দাবী করেছেন বিখ্যাত সাংবাদিক অমিত বসু। শুধুমাত্র শেখ হাসিনার ইমেজ আর নৌকা মার্কা প্রতীকে ভর করে নির্বাচনী বৈতরনী পার হয়ে এখন রীতিমত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন এ ধরণের একাধিক সাংসদের গোপন তালিকায় নাম রয়েছে মাগুরার একজন সাংসদ সদস্যেরও।  

নিজে কোনদিন রাজনীতি  না করলেও বিশেষ কায়দায়  নমিনেশন পেয়ে নির্বাচনে বিজয়ের পর ওই সাংসদ এখন শুধুমাত্র নিজের ভাই বোন আত্মীয় স্বজনকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে ফুলিয়ে ফাপিয়ে তোলা ছাড়া দল ও এলাকার জন্য বলতে গেলে কোন কাজই করেননি।  ওই সাংসদের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষের আছে নানা ধরণের অভিযোগ।

অন্যান্য সাংসদরা যেখানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার পরও  প্রতি সপ্তাহে এলাকার মানুষের কাছে আসেন। বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, পরিবারিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে দু-তিনমাসে  একদিনের জন্য এলাকায় আসলেও তার  কাছে ঘেষা সাধারণ মানুষের জন্য খুবই দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে যায়। সব সময়ই তিনি এলাকার মানুষের কাছ থেকে দুরত্ব বজায় রেখে চলেন। এমনকি এলাকার সাংবাদিকদের সঙ্গেও তার কোন প্রকার যোগাযোগ নেই বললেই চলে। অনেক সময় তার মোবাইলে নিজেদের সংবাদের প্রয়োজন জানিয়ে পরিচয় দিয়ে মোবাইলে মেসেজ দিয়েও সাংবাদিকরা তার সঙ্গে ১মিনিট কথা বলার সুযোগ পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে।  

মূলত এ ধরণের গণ বিচ্ছিন্ন সাংসদদের বাদ দিয়ে গণমুখি সাংসদ নির্বাচনের জন্যই গ্রীণ সিগন্যাল দিয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র ।  কলকাতার তথা বাংলা সংবাদপত্রের জগতে অনত্যতম বৃহৎ ও প্রভাবশালী সংবাদপত্র আনন্দবাজার এ বিষয়টি নিয়েই গবেষণাধর্মী এ রিপোর্টটি প্রচার করেছে। নিজেদের এলাকার ক্ষেত্রে যার সত্যতা স্বীকার করেছেন মাগুরার একাধিক  সাধারণ মানুষ ও রাজনীতিবিদ।  

img_20161111_210017

anandabazarpatrika_logo

আনন্দবাজারের আলোাচিত রিপোর্টটি নিচে তুলে ধরা হলোঃ

বেতারে বিদ্যুৎ সংযোগ হয় না, তার লাগে। তেমনি, মনের তারে বাঁধতে হয় মানুষকে, নইলে নির্বাচনে ভোট বাক্স ভরে না। সাফল্যের আলো জ্বলে না। নিজের আখের গুছোতে গেলে তার ছিঁড়ে বিচ্ছিন্ন। মানুষ বেজার বিরক্ত। তোয়াজেও কাজ হয় না। প্রার্থীর সব প্রতিশ্রুতি তখন ফাঁকা বুলি। কাছে গেলে তারা দূরে সরে। প্রাপ্তি কেবল প্রত্যাখানের যন্ত্রণা। সেই শঙ্কা আওয়ামি লিগের অনেক সাংসদেরই। সংখ্যাটা পঞ্চাশের কম নয়। এত দিন দলের চাক ভেঙে মধু খেয়েছেন। মৌচাকে মৌ সংগ্রহের দায়িত্ব নেননি। আওয়ামি লিগের ব্ল্যাক লিস্টে তাঁদের নাম। আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াটা অনিশ্চিত। তাঁদের অনেকেই ভেবেছিলেন, শেখ হাসিনার ভাবমূর্তিতে ভর করে নির্বাচনী বৈতরনী পেরোবেন। সেটা হবে না। অপদার্থরা হাসিনার কৃতিত্বের ভাগ পাবেন কেন। দলটা হাসিনার একার নয়। তাঁর নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতা কর্মীর প্রাণান্ত পরিশ্রমে দলটা আজ এই জায়গায়। বিরোধীরা বিভ্রান্ত। আওয়ামি লিগের সঙ্গে লড়বে কী করে ভেবে পাচ্ছে না।

এটা ঠিক হাসিনার নামে ল্যামপোস্টকে দাঁড় করালেও ভোটে জিতবে। সেটা হাসিনার কৃতিত্ব। বিচক্ষণতা, দৃঢ়তা, সত্যনিষ্ঠা কর্মনিষ্ঠায় তিনি বিশ্বজনীন। তিন বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে ধীরে ধীরে দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন উচ্চতার শিখরে। ৩৫ বছর ধরে দলের হাল ধরে। বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের রূপকার। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দল ফুলে ফেঁপে উঠেছে। সদস্য সংখ্যা সীমাহীন। সেখানে কোনও ফাঁকিবাজি কি মানা যায়! কেউ মরে বিল ছেঁচে, কেউ খায় কই। দলের সাফল্যে অনুরঞ্জিত হবেন, অবদান রাখবেন না। কোনও কোনও সাংসদ আবার নিজের ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে এতটাই ব্যস্ত, রাজনীতিতে সময় দিতে পারেন না। ভাবখানা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো। যিনি জানিয়েছেন, নিজের ব্যবসা যে ভাবে চালাই, ঠিক সেই ভাবে আমেরিকা চালাব। সত্যিই তাই করলে কেলেঙ্কারি। রাজনীতি, ব্যবসা নয়। সেখানে লাভক্ষতির অঙ্ক চলে না। নিজেকে উজাড় করে দেওয়াটাই শর্ত। পাওয়া নয় দেওয়াটাই দায়িত্ব।

কারও কোথাও গাফিলতি মানবেন না হাসিনা। আগাছার মতো অপদার্থদের ছাঁটবেন। আগামী নির্বাচনে টিকিট দেবেন না। বাতিলের তালিকায় এমন অনেকে আছেন যাঁরা প্রথমবার সাংসদ হয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন। পদের গ্ল্যামারটা উপভোগ করছেন। কাজের বেলায় অষ্টরম্ভা। তাঁরা পার পাবেন না। সাংসদ বাতিলের প্রাথমিক তালিকায় আপাতত চট্টগ্রামের পাঁচ, সিরাজগঞ্জে চার, নোয়াখালিতে চার। যশোহর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোমায় নয়। নীলফামারি, লালমণির হাট, গাইবান্ধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, বরিশাল, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ব্রাহ্মণবেড়িয়া, কক্সবাজারে ২৬। দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, মেহেরপুর, মাগুরা, খুলনা, ভোলা, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, জয়পুরহাট, মৌলভিবাজার, হবিগঞ্জ, চাঁদপুর, ফেনী, রংপুর, লক্ষ্মীপুরে ১৭।

সাংসদের কাজ নির্লক্ষ্য নয়। নিক্তির ওজনে মাপা হচ্ছে প্রতিটি পদক্ষেপ। ২০১৪-র ৫ জানুয়ারি নবম সাধারণ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ প্রার্থী জয়ী। সংসদের ৩০০ আসনে এত জনের লড়াই ছাড়া সাফল্য কম কথা নয়। ভোট কী বুঝলেন না। অথচ ভোটে জিতলেন। সেটাই কাল হয়েছে অনেক সাংসদের। এ বার সেটা হবে না। গত বার প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে নামেনি। এবার নামছে, অগোছালো ঘর গোছাচ্ছে। ভারত বিদ্বেষকে ইস্যু করলে সুবিধে কিনা ভেবে দেখছে। ভোটের ময়দানে নেমে গোহারান হারতে তারা রাজি নয়। ২০১৯-এর ২৮ জানুয়ারির তিন মাস আগে থেকে যে কোনও দিন ভোট। সময় আছে। আওয়ামি লিগের পিছিয়ে পড়া সাংসদরা চাইলে স্পিড বাড়িয়ে এগোতে পারেন। লেট করা ট্রেন গতি বাড়িয়ে যে ভাবে টাইম মেকআপ করে সেভাবেই।