বুলু শরীফ, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

আজ ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার। সময় বেলা অনুমান ১২টা । ঘটনাস্থল মাগুরা জেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনের মাগুরা-ফরিদপুর সড়ক। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: সেলিনা বানুর নেতৃত্বে ওই সড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছিল। সাংবাদিক আরাফাত হোসেন পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসাবে ক্যামেরায় ওই উচ্ছেদ অভিযানের কিছু ফুটেজ সংগ্রহ করছিলেন। এক পর্যায়ে উচ্ছেদ অভিযান সংক্রান্ত কিছু তথ্য সংগ্রহের জন্যে সাংবাদিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: সেলিনা বানুর স্মরণাপন্ন হলে তিনি (ম্যাজিস্ট্রেট) জনৈক পুলিশ কনস্টেবলকে মাগুরার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ডাকতে বলেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচয়ের এক ব্যাক্তি ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে আসলে তিনি (ম্যাজিষ্ট্রেট) উচ্ছেদ অভিযান সম্পর্কে সাংবাদিককে তথ্য দেয়ার জন্যে বলেন।

এ সময় ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনেই উত্তেজিত ভাবে নির্বাহী প্রকৌশলী পরিচয়ের ব্যাক্তিটি সাংবাদিককে তথ্য দিতে অস্বীকার করে বলতে থাকেন যে, “আমার এখন সময় নেই, আমার এখন সময় নেই”।

এ কথা বলেই হন্তদন্ত হয়ে সাংবাদিকের সামনে থেকে তিনি পালিয়ে যাওয়ার মত ছুট দেন।

ওই সময় সাংবাদিক সংবাদের প্রয়োজনে তাঁর নাম জিজ্ঞাসা করলে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন- “আমার কোন নাম নেই, আমার কোন নাম নেই।” এ কথা বলতে বলতে তিনি সরে পড়েন।

এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ উপস্থিত পথচারীরা বিস্মিত ও হতবাক হয়ে যান।

জেলা পর্যায়ের দ্বায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তার- সাংবাদিক ভীতি সেখানে উপস্থিত অনেকের মনেই নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অবশ্য এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে বিব্রতকর অবস্থায় না ফেলাটাই উত্তম মনে করে ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে জানতে চাওয়া হয়নি। ঘটনাটি স্থানীয় সাংবাদিক মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।

 

সম্পাদনা: রূপক আইচ, ২২ সেপ্টেম্বর ১৬