ইমাম জাফর, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
সাম্প্রতিক সময়ে বৃষ্টিতে মাগুরার বিভিন্ন নদ-নদীতে ও খাল-বিলে পানি বেড়েছে। ভাদ্র মাসের মাঝামাঝিতে নদ-নদী ও খাল-বিলের সেই পানি কমতে শুরু করেছে। এ সময় ধরা পড়ছে বিভিন্ন দেশী জাতের সুস্বাদু ছোট-বড় মাছ । জেলেদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও শখের বশে নেমে পড়েছেন মাছ ধরতে। জেলার মহম্মদপুর, শ্রীপুর, শালিখা ও সদর উপজেলার জলাশয়গুলোতে এখন রীতিমতো উৎসবে পরিণত হয়েছে ‘মাছ ধরা’ । অনেকটা উৎসবের মতো করে মাছ ধরতে নেমেছে নদী তীরের মানুষেরা। তাই মাছ ধরার সরঞ্জামের কদর বেড়ে গেছে। ব্যস্ত সময় কাটছে নৌকা তৈরির মিস্ত্রি ও চাঁই তৈরির কারিগরদের।

এ মওসুমে নৌকায় জাল, খুন্নি, ঘুনি, চাঁই, পোলো, রাবানি (মাছ ধরার ফাঁদ) অথবা বড়শি নিয়ে মৎস্য শিকারে ছুটে চলেন জেলে আর মৌসুমি মৎস্য শিকারিরা। এ মৌসুমে চাঁই ও নৌকা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন এ অঞ্চলের বিশাল একটি জনগোষ্ঠী। ধুমছে চলছে মাছ ধরার ঝাঁকি জাল, ভেসাল, ধর্মজাল তৈরি ও বিক্রির কাজ। বংশপরম্পরায় জেলায় প্রায় এক হাজার পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে বাঁশের চাঁইসহ মাছ শিকারের বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করে।

mas-2
মাগুরার রূপদহর বিলে দেশী মাছ ধরতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে মৎস্যজীবিরা।                                                                                                 -মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মাগুরা শালিখা উপজেলার ধনেশ্বরগাতি ইউনিয়নের মালোপাড়ার বাঁশের রাবানি, চাঁই, বাণা ও খুন্নি বিক্রির পাইকারি ব্যবসায়ী উজ্জল বলেন, আমাদের তৈরি মাছ ধরার সামগ্রী জেলা-উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রির পাশাপাশি চলে যায় দেশের অন্যান জেলায়।

মাগুরা সদর উপজেলার হাজীপুর এলাকায় খালে জাল পেতে মাছ ধরছিলেন ছবদ্দুল, ইছরাইল ও ইরাদ আলী। তারা বলেন, অতি বৃষ্টিতে অনেকের পুকুরের ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। প্রতিদিন আমরা এখানে জাল পেতে মাছ ধরছি। প্রতিদিন ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৪-৫ কেজি মাছ পাচ্ছি। আঠারোখাদ ইউনিয়নের মহাদেব,বাবলু, নিমাই, বিশে, শুখচানসহ এলাকার ১৫টি চাঁই পেতে নবগঙ্গা নদীতে মাছ ধরছেন।

তারা জানান, মাছ ধরে আমরা পরিবারের সবাই খাচ্ছি। আবার বিক্রিও করছি। সপ্তাহখানেক ধরে গড়ে ৫০০-৭০০ টাকার মাছ বিক্রি করছি।

সম্পাদনা: রূপক আইচ, ৮ সেপ্টেম্বর ১৬