রূপক আইচ
সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশের জান। সাকিব আল হাসান মাগুরারও জান। মাগুরা বাসির গর্ব সাকিব আল হাসান। বিশ্ব ক্রিকেটের অনন্য নাম। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বিশ্বের দরবারে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে সাকিবের ভূমিকা অপরিসীম। আইসিসি র্যাংকিংয়ের দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হিসেবে জায়গা করে নেয়া সাকিব আল হাসান মাগুরার মাটির সন্তান। মাগুরায় কেটেছে সাকিবের শৈশব-কৈশর। এই শহরের অলি-গলিতে ফুটবল আর টেনিস বলে ক্রিকেট খেলতে খেলতে আজ সাকিব আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্টার।
মাগুরা শহরের কেশবমোড়ে সাকিবের বাড়ির পেছনের দিকে টুলু স্যারের বাড়ি। ওই বাড়ির সামনের রাস্তার ওপর ইট দিয়ে স্টাম্প বানিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে টেনিস বলে ক্রিকেটের হাতেখড়ি তার। কখনো বা সেখানেই প্লাস্টিকের বলে ফুটবল খেলা। বাবা এ সময়ের বিশিষ্ট ফুটবলার মাশরুর রেজার সুবাদে শিশুকাল থেকে খেলাধুলার সঙ্গে যোগাযোগ। বাবাই মূলত খেলার দিকে আগ্রহী করে তোলেন শিশু সাকিবকে। স্বভাবতই ফুটবলের প্রতিই বেশি ঝোঁক থাকার কথা ছিল। কিন্তু ১৯৯৯ সালে আইসিসিতে বাংলাদেশ দল টেস্ট স্টাটাস পাওয়ার পর দেশের ক্রিকেটের চিত্র বদলে গেল। বদলে গেল সাকিবের অগ্রযাত্রার পথ। ক্রমে এমে নিজ এলাকার ক্লাব ক্রিকেটে হাতেখড়ি। এরপর অনূর্ধ্ব ১৯ মাগুরা জেলা দলের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে কিশোর সাকিবের ক্রিকেট নৈপুণ্য এলাকার গন্ডি পেরিয়ে জাতীয় পর্যায়ে স্থান করে নেয়। পরে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে শুরু হয় সাকিবের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। সেখানেই ক্রিকেটের আধুনিক কলাকৌশলের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সাকিব চোখে পড়ে যান জাতীয় দলের নির্বাচকদের। হয়ে ওঠেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার।
ওই বছরই মে মাসে দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলতে ভারতের জাতীয় দল বাংলাদেশ সফরে আসে। ২০০৭ সালের মে মাসের ১৮ তারিখ সাকিবের টেস্ট অভিষেক হয় ভারতের বিপক্ষে। এক ইনিংস ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে এই অলরাউন্ডার ২৭ রান করেন এবং ১৩ ওভার বল করে কোনো উইকেট পাননি। ম্যাচটি ড্র হয়। ভারত টেস্ট সিরিজ জেতে ১-০ ব্যবধানে এবং ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ তে। সেপ্টেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জয়ের সুবাদে বাংলাদেশ দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার সুযোগ পায়। ম্যাচটিতে সাকিব ৩৪ রানে নেন ৪ উইকেট। সাকিব-ই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি টি২০ ফরম্যাটে ৩টির বেশি উইকেট নেয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। অক্টোবর মাসে ঘোষণা করা হয় যে, জেমি সিডন্স, অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন সহকারী কোচ বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিতে আসছেন। সিডন্স বাংলাদেশের উন্নতিকল্পে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেন এবং ট্যালেন্টেড তরুণদের আন্তর্জাতিক লেভেলে বেশি বেশি সুযোগ দেয়ার ঘোষণা দেন।
২২ জানুয়ারি, ২০০৯ সাকিব আইসিসির ওডিআই অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে ১ নাম্বারে ওঠে আসেন। ২০১১ সালে আইপিএলের নিলামে তাকে ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলারের বিনিময় কলকাতা নাইট রাইডার্স কিনে নেয়।
২০০৯-এর শুরুতে বাংলাদেশের টানা কয়েকটি হার এবং দীর্ঘ রানখরার কারণে আশরাফুলের অধিনায়কত্ব প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। তখন থেকেই বিসিবি সাকিবকে জাতীয় দলের ‘সম্ভাব্য কর্ণধার’ হিসেবে বিবেচনা করতে শুরু করে। বিসিবি অবশ্য এত দ্রুত সাকিবের কাঁধে অধিনায়কত্বের বোঝা চাপিয়ে দেয়ার পক্ষপাতী ছিল না। পরে ‘টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপ, ২০০৯ এর প্রথম পর্বেই বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড ও ভারতের কাছে হেরে বিদায় নেয়ার ফলে আশরাফুলের অধিনায়কত্বের বিষয়টি আবার সামনে চলে আসে। জুন, ২০০৯-এ মাশরাফিকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়, সাকিবকে করা হয় সহ-অধিনায়ক।
জুলাই মাসে বাংলাদেশ ওয়েস্ট-ইন্ডিজ সফরে যায়। প্রথম টেস্টেই মাশরাফি হাঁটুর ইনজুরিতে আক্রান্ত হন। খেলার শেষ দিনে তিনি মাঠেই নামতে পারেননি এবং তার জায়গায় অধিনায়কত্ব করেন সাকিব। অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে সাকিব যেন নতুন রূপে জ্বলে ওঠেন। তিনি ও মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশের বোলিং অ্যাটাকের নেতৃত্ব দেন এবং দু’জনে মিলে মোট ১৩টি উইকেট তুলে নিয়ে দেশকে এক ঐতিহাসিক জয় এনে দেন। দেশের বাইরে এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়। ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম এবং সর্বসাকুল্যে দ্বিতীয় টেস্ট বিজয়।
মাশরাফির ইনজুরিজনিত অনুপস্থিতির কারণে সিরিজের বাকি সময়টা সাকিবই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন। ২২ বছর ১১৫ দিন বয়সে বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ ও ইতিহাসের পঞ্চম কনিষ্ঠতম অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন তিনি। সাকিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্টও জিতে নেয় এবং দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পায়। ব্যাট হাতে ১৬ ও ৯৬* রান করে এবং বল হাতে ৫৯/৩ ও ৭০/৫ উইকেট নিয়ে সাকিব ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও ম্যান অব দ্য সিরিজ-দুটি পুরস্কারই নিজের ঝুলিতে পুরেন। গোটা সিরিজে তিনি ৫৩.০০ গড়ে ১৫৯ রান করে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার হন এবং ১৮.৭৬ গড়ে ১৩ উইকেট নিয়ে কেমার রোচের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হন। টেস্ট সিরিজ ২-০ তে জেতার পর বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজও ৩-০ তে জেতে। সিরিজে সাকিব দুটি হাফ-সেঞ্চুরি করেন। ব্যাটিং গড় ছিল ৪৫.০০। ৪৮.০০ গড়ে তিনি দুটি উইকেটও নেন। এই অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য ওয়ানডে সিরিজেও তিনি ‘সেরা খেলোয়ারের খেতাব জিতে নেন।
মাশরাফি ইনজুর্ড থাকায় সাকিবকেই আগস্ট মাসে জিম্বাবুয়ের ট্যুরে অধিনায়ক পদে বহাল রাখা হয়। ৫ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সাকিব মাত্র ৬৪ বলে ১০৪ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর গড়তে ও দলকে ২-০ তে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেন। সাকিব সিরিজ শেষ করেন ৪২.৫০ গড়ে ১৭০ রান করে, পঞ্চম সর্বোচ্চ স্কোরার হিসেবে। ৩৯.৬৬ গড়ে নেন মোট ৬ট উইকেট। ৪-১ এ সিরিজ জয় শেষে কুঁচকির ব্যথা সারানোর জন্য সাকিব অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমান। ওয়েস্ট-ইন্ডিজ সফর থেকেই ব্যথাটা তাকে ভোগাচ্ছিল। ব্যথাকে উপেক্ষা করেই তিনি জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পুরো বছরজুড়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে সাকিব আইসিসি কর্তৃক টেস্ট প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার, ২০০৯ ও ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার, ২০০৯-এর জন্য মনোনীত হন। সাকিবই প্রথম বাংলাদেশি যিনি এ ধরনের ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছেন।
২০০৯-এর সেপ্টেম্বরে ঘোষণা করা হয় যে, পরের মাসে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে সিরিজে মাশরাফিই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন এবং সাকিব আবারো সহ-অধিনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন। কিন্তু মাশরাফি হাঁটুর ইনজুরি থেকে সময়মত সেরে উঠতে না পারায় সাকিবকেই অধিনায়কের দায়িত্ব্ব দেয়া হয়। উদ্বোধনী ম্যাচে হারলেও সাকিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঠিকই ঘুরে দাঁডায় এবং ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় নভেম্বর মাসে ‘দ্য উইজডেন ক্রিকেটাস’ সাকিবকে বছরের ‘সেরা টেস্ট ক্রিকেটার’ ঘোষণা করে।
২০১০-এর ফেব্রুয়ারি-মার্চে দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসে ইংল্যান্ড। সবগুলো ম্যাচেই ইংল্যান্ড জয় পায়। টেস্ট ও ওয়ানডে- দুটিতেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন সাকিব (টেস্টে ৯ উইকেট ও ওয়ানডেতে ৫ উইকেট)। দ্বিতীয় টেস্টের দুই ইনিংসে সাকিব যথাক্রমে ৪৯ ও ৯৬ রান করেন এবং ১২৪ রান দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। দুটি টেস্টই শেষ দিন পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সে বছরই মে মাসে বাংলাদেশ ইংল্যান্ড ট্যুরে যায়। এবারো বাংলাদেশ ২-০ তে টেস্ট সিরিজ হারে এবং ৮টি উইকেট নিয়ে সাকিব সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হন। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগ দিয়ে বাংলাদেশ ‘এশিয়া কাপ, ২০১০’ খেলার উদ্দেশে শ্রীলংকা যায়। তিনটি ম্যাচের প্রতিটিতেই বাংলাদেশ হারে। সাকিব ও শফিউল ৫টি করে উইকেট নিয়ে যৌথভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হন।
অধিনায়ক হিসেবে সাকিব নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। সেই সঙ্গে অলরাউন্ডার হিসেবেও নিজের সেরাটা দিতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। এই দ্বিবিধ জটিলতার কারণে জুলাই মাসে সাকিব অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। শ্রীলংকা থেকে ফিরে এসে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে হারাতে সমর্থ হয়।
জুলাই মাসে সাকিব পূর্বনির্ধারিত চুক্তি অনুযায়ী, ইংল্যান্ডের সেকেন্ড ডিভিশন কাউন্টি দল উর্চেস্টারশায়ারে যোগ দেন। সাকিবই প্রথম বাংলাদেশি যিনি কাউন্টিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এ দলের পক্ষেই সাকিব করেন তার ফাস্ট ক্লাস ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং (৩২/৭, মিডলসেক্সের বিরুদ্ধে)। ৮টি ফাস্ট ক্লাস ম্যাচ খেলে সাকিব ২৫.৫৭ গড়ে করেন ৩৬৮ রান এবং ২২.৩৭ গড়ে নেন মোট ৩৫টি উইকেট। উর্চেস্টারশায়ার প্রথম ডিভিশন লিগে উন্নীত হয় এবং সাকিবও দলের হয়ে ৫টি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পান। দুটি অর্ধ-শতকের সাহায্যে সাকিব ৩৭.৪ গড়ে করেন ১৮৭ রান এবং ১৭.৭৭ গড়ে নেন ৯টি উইকেট। এশিয়া কাপ ২০১২-এ বাংলাদেশ অভাবনীয় খেলে ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার। ফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশ মাত্র ২ রানে হেরে যায়। সাকিব সেখানেও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হন।
অক্টোবর, ২০১০-এ ৫ ওয়ানডের একটি সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড দল বাংলাদেশে আসে। প্রথম ম্যাচেই মাশরাফি অ্যাংকেল ইনজুরির শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। ফলশ্রুতিতে সাকিব অধিনায়কের দায়িত্ব নেন। সাকিব একেবারে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেন। ব্যাট হাতে করেন ৫৮ রান, বল হাতে নেন ৪টি উইকেট। দল জেতে ৯ রানে। চতুর্থ ম্যাচে সাকিব আবারো শতক হাঁকান এবং তিন উইকেট নিয়ে দলের বিজয় নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশ সিরিজ জেতে ৪-০ তে। পূর্ণশক্তির কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলের বিরুদ্ধে এটাই বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়। ২১৩ রান করে সাকিব সিরিজের সর্বোচ্চ স্কোরার হন এবং ১১ উইকেট নিয়ে হন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসে। মাশরাফি ততদিনে ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন। এতদ্সত্ত্বেও সাকিবকেই দলের অধিনায়ক পদে বহাল রাখা হয়। প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের পর প্রেস কনফারেন্সে সাকিব বলেন, ‘দায়িত্বটা নিতে আমি ঠিক মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম না এবং অধিনায়ক হিসেবে আমার ভূমিকা নিয়েও আমি সন্তুষ্ট না।’ সিরিজের বাকি তিনটি ম্যাচেই বাংলাদেশ জয় পায়। ১৫৬ রান করে সাকিব বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার হন, বল হাতে নেন ৯টি মূল্যবান উইকেট।
২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তিনি প্রথম বাংলাদেশি খেলোয়াড় হিসেবে একটি শতরান (তার সেরা ইনিংস ১৪৪) এবং একই টেস্টে ৫ উইকেট নেন। সিরিজের পর তিনি আইসিসির টেস্ট র্যাংকিংয়ে ১ নাম্বারে ওঠে আসেন।
২০১২ সালের এশিয়া কাপে দুর্দান্ত খেলার জন্য সাকিব আল হাসান ম্যান অব দ্য সিরিজ নির্বাচিত হন। এই সিরিজে বাংলাদেশ ফাইনালে ওঠে এবং মাত্র ২ রানে হেরে যায়। সিরিজে সাকিব ৪ ম্যাচে ৩টি অর্ধশতক এবং অপর ম্যাচে ৪৯ রান করেন। এ ছাড়া বল হাতে ৬টি উইকেট নেন। ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখ সাকিব আল হাসান বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন প্রবাসী উম্মে আহম্মদ শিশিরের সঙ্গে। গত ৮ নভেম্ব ’১৫ সাকিব শিশিরের সংসার আলো করে আসে একটি কন্যা সন্তান। সাকিব আল হাসানের মেয়ের নাম রাখা হয়েছে আলাইনা হাসান অব্রি।