বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তা
মাগুরায় পানির দামে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশুর চামড়া। স্থানীয় ফড়িয়াদের সিন্ডিকেটের কাছে বাধ্য হয়ে বিক্রি করায় সেগুলি কম মূল্যে কিনে নিচ্ছে তারা। অনেক ক্ষেত্রে দামেই দিচ্ছে না ছাগলের চামড়ার। সরকার নির্ধারিত মূ্ল্েযর তিন ভাগের একভাগ মূল্যও পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ । এতে কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়ছে এতিমের হক হিসেবে সাহায্য পাওয়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে, জুতার দাম আকাশচুম্বি হলেও চামড়া কেন এত মূল্যহীন? সরেজমিনে মাগুরা সদরের কাটাখালি বাজারে মাসুদ মিয়ার চামড়ার আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে দম ফেলার সময় নেই মৌসুমি চামড়া শ্রমিকদের। বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির চামড়া নিয়ে এ আড়তে বিক্রি করতে আসছেন বিক্রেতা
মাওলানা বেলায়েত হোসেনসহ একাধিক মাদ্রাসা শিক্ষক জানালেন, কয়েকবছর আগে যে গরুর চামড়াটির মূল্য ছিল অন্তত ২ হাজার টাকা। এ বছর ব্যবসায়ীরা সে মানের একটি চামড়ার মূল্য দিচ্ছে সর্বোচ্চ ৩শ টাকা। ছাগলের চামড়ার মূল্য দিচ্ছে মাত্র ১০ থেকে ১৫টাকা। রাগে ক্ষোভে কেউ কেউ তা বিনামূল্যেই দিয়ে দিচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
মাগুরা বড় বাজার এর চামড়া ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফাসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ঢাকার ট্যানারী ব্যবসায়ীদের কাছে তাদের কয়েক কোটি টাকা আটকে আছে। ওই টাকা পরিশোধ না করেই তারা বছর বছর নতুন করে চামড়া নিচ্ছে। এ অবস্থায় ছোট ব্যবসায়ীরা মুলধন সংকটে পড়ছেন। তার উপর লবনের মূল্যের উর্ধ্বগতি মড়ার উপর খাড়ার ঘা দিচ্ছে। বিষয়টি সরকারের উচ্চ মহল দেখভাল না করলে ছোট ছোট চামড়া ব্যবসায়ীরা আরও সংকটে পড়বে।
মাগুরা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন জানান, কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার চিন্তা ও ট্যানারি মালিকদের ছোট ব্যবসায়ীদের মূল্যধন আটকে ফেলার কারণে সাধারণ বিক্রেতারা চামড়ার মূল্য পাচ্ছে না। এতে এতিমের হক নষ্ট করে একটি শ্রেণী টাকার পাহাড় গড়ছে। বিষয়টির সমাধানের জন্য তিনি এফবিসিসিআইকে জানাবেন। বে সরকারি হিসেবে এ বছর মাগুরা জেলায় প্রায় ৬০ হাজার পশু কোরবানি হয়েছে।

রূপক /মাগুরা /১২ জুলাই ২২