বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তা
বিরল ফেসিও স্কাপিলো হিউমারাল ডিসট্রফি (এফএসএইচডি) রোগে আক্রান্ত্র হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন মাগুরার তরতাজা যুবক চয়ন শিকদার (৩৭)। দুরারোগ্য এ রোগে চিকিৎসা নিতে কয়েক বছর চিকিৎসা নিয়ে তিনি ইতিমধ্যে পরিবারিক জমিজমাসহ সহায় সম্বল হারিয়ে প্রায় ২৭ লাখ টাকা খরচ করে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় জীবন বাঁচাতে হলে এ রোগে বিশে^র একমাত্র নির্ভরযোগ্য চিকিৎসার স্থান আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব রোজেস্টার মেডিকেল সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিতে হবে বলে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানের সাথে ইন্টারনেট মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তারা পরিক্ষা নিরিক্ষা শেষে সেখানে যাওয়ার জন্য একটি দাপ্তরিক আমন্ত্রনপত্রও পাঠিয়েছেন চয়ন এর বরাবরে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ৪০ লাখ টাকা খরচ হবে অসহায় চয়নের। যা এখন তার দ্বারা বহন করা একেবারে সম্ভব না। এ অবস্থায় জীবন বাঁচাতে সমাজের সকল মানুষের সহায়তা চেয়েছেন চয়ন।
চয়ন জানান, মাগুরা আনসার ও ভিডিপি অফিসে স্বল্প বেতনে একটি চাকরি করেন তিনি । ২০১৩ সালের দিকে প্রথমে হঠাৎ জ¦রে আক্রান্ত হয়ে মাসখানেক রোগভোগ করেন। এর পর থেকে লক্ষ করেন তার দুই হাতের কবজির উপরের অংশ ও দুই পায়ের হাটুর উপরের অংশ শুকিয়ে সরু হয়ে যাচ্ছে। হাড়ের ভেতরে অসহনীয় যন্ত্রনা হচ্ছে। শরীর ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে আসছে। এ অবস্থায় তিনি প্রথমে মাগুরায় ও পরে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতাল চিকিৎসা নেন। সেখান থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শে ভারতের চেন্নাই, বেঙ্গালোর, তামিলনাড়–সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ব্যর্থ হন। এ বছর এপ্রিল মাসে ভারত চেন্নাইয়ে এপোলা হাসপাতাল থেকে তার রোগের নমুনা আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব রোজেস্টার মেডিকেল সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে কর্তৃপক্ষ গত ১৫ এপ্রিল তার রোগটি ফেসিও স্কাপিলো হিউমারাল ডিসট্রফি (এফএসএইচডি) বলে সনাক্ত করে তাকে আমেরিকা গিয়ে চিকিৎসার জন লিখিতভাবে পরামর্শ দিয়েছেন। অন্যথায় দুএক বছরের মধ্যেই তার মৃত্যুর আশংকা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকবৃন্দ। এ মুহুর্তে আমেরিকায় গিয়ে চিকিৎসা নিতে তার কমপক্ষে ৪০লাখ টাকা খরচ হবে। যা তার দ্বারা এখন বহন করা একেবারেই অসম্ভব। এদিকে বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও ছোট ছোট দুটি শিশু সন্তান নিয়ে চয়ন এখন প্রতি মুহুর্তে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। চয়ন জানান- বাড়ির জমিজমা ও পরিবারের শেষ সম্বল বিক্রি করে চিকিৎসা নিয়ে তিনি এখন সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় দেশের সহৃদয় মানুষ বা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা ছাড়া তার বেঁচে থাকা সম্ভব না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে তার বেঁচে থাকা ও বিরল এ রোগথেকে মুক্তির জন্য তিনি সকলের মানবিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাকে সহায়তা করতে চাইলে চয়ন শিকদারের সঞ্চয়ি হিসাব নং- ২৪১৯০০১০০৩৮৪৪ সোনালী ব্যাংক, মাগুরা নতুন বাজার শাখা। রাউটিং নম্বরঃ- ২০০৫৫০৭০৫,ব্যক্তিগত বিকাশ ও নগদ নম্বর-চয়ন শিকদার ০১৯২০-২৯২৯৭৫ মোবাইলঃ ০১৭৮৬-০৯৬৫৮৯।

রূপক /মাগুরা /৯ জুন ২২