পংকজ রায়, মহম্মদপুর প্রতিনিধি
মহামারী করোনা ভাইরাসের বিস্তার ও প্রাণহানি বেড়েই চলেছে। উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে সারা দেশের ন্যায় বন্ধ মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার খালিয়া মাধ্যমিক ও খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি। এ সুযোগে এখন বিদ্যালয়টি অনেকটা দখলে চলে গেছে এলাকার জুয়াড়ী আর ঠিকাদারদের হাতে। বারান্দায় জুয়ার আসর আর চত্বরে এলাকার রাস্তা তৈরীর নির্মাণ সামগ্রীতে বিদ্যালয়ের মাঠটি এখন খেলাধূলার অনুপযোগি। ঠিকাদার চলে গেলে খানা খন্দরের মাঠটির সর্বনাশের আশংকা করছে এলাকাবাসি।

দিনের পর দিন চলে আসা এ জুয়ার আসর বন্ধ করতে গিয়ে হুমকির শিকার হয়েছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার জাহিদ। তিনি বলেন, “তাস খেলতে নিষেধ করলে তারা শোনে না। আর যদি বেশি নিষেধ করি, তাহলে তারা তালা ভেঙ্গে স্কুলের সব নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়। এর আগে একবার নিষেধের কারণে তারা স্কুলের তালা ভেঙ্গেছিল। তবে, তেমন কিছু নিতে পারেনি। এলাকার একটি প্রভাবশালী চিহ্নিত মহল এ ধরনের কাজ করে আসছে।”

বিদ্যালয় মাঠে নির্মাণ সামগ্রীর বিষয়ে তিনি বলেন, “৫ থেকে ৬ দিনের জন্য একজন ঠিকাদারকের স্কুলের মাঠ ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছিল। তিনি এক মাসের বেশি সময় ধরে ব্যবহার করছেন। রাস্তার নির্মাণ সামগ্রী রেখে দিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যে কোন সময় স্কুল খোলার ঘোষণা আসতে পারে। তাই ঠিকাদারকে দ্রুত মাঠটি পরিষ্কার করার জন্য বলেছি। ”

সরেজমিনে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ওই বিদ্যালয়ে গেলে দেখা যায়, ১০/১২জন যুবক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় বসে তাস খেলছেন। এমন সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মেজবাউল ইসলাম ওই বিদ্যালয়ে আসেন এবং তিনি জানান, “স্কুল বন্ধ থাকার কারণে স্কুলের বারান্দা এবং আশপাশ দিয়ে আমাদের এলাকার যুবক ছেলেরা তাস-জুয়া খেলে। যা আগের থেকে একটু বাড়ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল বলেন, জুয়া খেলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাগুরা/ ১৪ জুলাই ২০২১