মহম্মদপুর প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তা
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মো: মেজবাউল ইসলাম হামিদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের লোকজন বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, অন্তসত্বা বা গর্ভকালীন ভাতা, ভিজিডি কার্ড দেওয়ার নামে উৎকোচ গ্রহন করে এমন অভিযোগ এনে খালিয়া গ্রামে একটি মানববন্ধন করে। মানববন্ধনের সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদটি মিথ্যা ভিত্তিহীন ও ষড়যন্তমূলক দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন ইউপি সদস্য মো: মেজবাউল ইসলাম হামিদ। রোববার দুপুরে মহম্মদপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

ইউপি সদস্য মেজবাউল ইসলাম হামিদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১২ই আগস্ট তারিখে ৪ নং ওয়ার্ডের খালিয়া গ্রামের আমার প্রতিপক্ষের ২০ থেকে ৩০ জন মানুষ জড়ো করে জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের আওতায় ঘর দেওয়ার কথা বলে ১০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা করে উৎকোচ নিয়েছি , বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, অন্তসত্বা বা গর্ভকালীন ভাতা, ভিজিডি কার্ড দেওয়া বাবদ ৫হাজার থেকে ১০হাজার টাকা করে উৎকোচ নিয়েছি বলে অভিযোগ এনে আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের লোকজন একটি মানববন্ধন করে। মিথ্যা, ভিত্তিহীন তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদটি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়। তিনি ওই সংবাদটির প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমার রাজনৈতিক ও সামাজিক দলের প্রতিপক্ষের লোকজন প্রতিবার নির্বাচনে পূর্বে একটি কুচক্রি মহল আমার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করা জন্য ও তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এ রকম ষড়যন্ত মূলক কাজে লিপ্ত থাকে। তারা পূর্বে পরপর দুইবার আমার নিকট নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে। আসন্ন ২০২১ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার সম্মান ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করে ভোটাদের কাছে আমার বিরুদ্ধে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টির লক্ষে এমন মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করেছে। এছাড়া খালিয়া পশ্চিমপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানজিং কমিটির সভাপতি ইমান উদ্দিন ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও আমার স্ত্রী মোছা: শাহিনা খাতুনের নিকট বিদ্যালয়ের সংস্কার বাবদ বরাদ্দকৃত দুই লাখ টাকার থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তিনি রেগে আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে মানববন্ধনের নেতৃত্ব দেন।
তিনি আরও বলেন আমি দায়িত্বে থাকাকালিন কোন উপকারভোগিকে সরকারী সহায়তা দেবার কথা বলে কোন ব্যক্তির নিকট থেকে উৎকোচ গ্রহন করি নাই। আমার বিরুদ্ধে প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিহিংসা মূলক। এমন সংবাদ প্রচারের কারনে আমার সম্মান এবং সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। উক্ত মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে বিনোদপুর ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার মিজানুর রহমান বলেন, ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো: মেজবাউল ইসলাম হামিদের বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মানববন্ধন করে সংবাদ প্রচার করেছে এটা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্তমূলক।

 

রূপক /মাগুরা /১৬ আগস্ট ২০২০