বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তা
প্রতিষ্ঠার ২৬ বছরেও জাতীয়করণ হয়নি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার রায়পুর কমিনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। জাতীয়করণের দাবিতে বিভিন্ন সময় মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচী পালন করলেও অজ্ঞাত কারণে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি পড়েনি  স্কুলটির প্রতি। শনিবার দুপুরে এক মনববন্ধনে কমিনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী, এলাকাবাসিরা ও বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দরা অংশ নেনে। বিদ্যালয়টি অবিলম্বে জাতীয়করণ করে নতুন ভবন নির্মাণ না হলে শতাধিক ছাত্রছাত্রীর লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে জানা গেছে। বিষয়টিতে তারা জেলা প্রশাসকসহ মাগুরার সন্তান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব আকরাম আল হোসেন মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামছুন্নাহারে সভাপতিত্বে মানববন্ধনে কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: আসাদুজ্জামান, আওয়ামীলীগ নেতা স্বপন সাহা, শিক্ষিকা মিলি পারভীন, শ্যামলী ঘোষ, শিক্ষক নিপেন্দ্রনাথ, অভিভাবক দবির হোসনে, বরিউল মৃধা প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সরকারী ভাবে ১৯৯৪ সালে উপজেলার রায়পুর- হরিনাডাঙ্গা দুই গ্রামের ছেলে মেয়েদের জন্য রায়পুর গ্রামে ৩৩ শতক জমির উপর প্রতিষ্ঠা করা বিদ্যালয়টি। সে সময় ভবন নির্মান ও আসবাবপত্র সরকারি ভাবে দেওয়া হলেও বর্তমানে তার বেহালদশা। ভবনটি ও আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন সরকারী কোন সয়হতাও মেলেনি বিদ্যালয়টিতে। তারপর প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয়রা মিলে একটি টিনের ঘর করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালু রাখে। কিছুদিন আগে ঘুর্ণিঝড় আমপানে সে ঘরটিও ভেঙে মাটিতে যায়। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১০৫ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। করোনার কারণে পাঠদান বন্ধ রয়েছে । তাই বিদ্যালয়টির দিকে সরকার নজর না দিলে এই দুই গ্রামের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে। এ এলাকার মধ্যে অন্য কোন বিদ্যালয়ও নেই। এ অবস্থায় তারা মাগুরার মাননীয় জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিখ্ষা মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব আকরাম আল হোসেন এর ব্যক্তিগত সুদৃষ্টি কামনা করেন। একই সঙ্গেমাগুরা ২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার এমপির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
বক্তরা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন। কিন্তু এই বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়ে যায়। কি কারণে বাদ পড়েছে আমারা জানতে পারিনি। জাতীয়করণ হতে সকল প্রকার শর্ত বিদ্যমান থাকলেও বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়নি। অবিলম্বে পাঠদানের জন্য নতুন ভবন, সরকারী সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা ও বিদ্যালয়টি জাতীয় করণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান তারা।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূর মোহম্মদ বলেন, বিদ্যালয়টি ২৬ বছর প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরও কেন জাতীয়করণ হয়নি আমার জানা নেই। তবে তারা লিখিত ভাবে আবেদন করলে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রূপক /মাগুরা /৯ আগস্ট ২০২০