মহম্মদপুর প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তা
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রহমান মোল্যার বিরুদ্ধে দুঃস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচীর (ভিজিডি) ১৫মাসের ৩০ কেজি কওে ৪৫০ কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি চাল আত্মসাতের বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে ওই ইউপি সদস্য কার্ডধারী কে কার্ডটি ফেরৎ দেন। চাল আত্মসাতের বিষয়টি ওই ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান মোবাইলে স্বীকার করেছেন।

জানা যায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে ঘরবন্দী মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করতে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। এসময় দরিদ্রদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী, ত্রান, ভিজিডিসহ বিভিন্ন বিষয় নিশ্চিত করতে যাচাই বাছাই করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে দুঃস্থদের খাদ্য সহায়তা পাওয়ার বিভিন্ন  সমস্যা বের করে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে প্রশাসন। এরই মধ্যে ওই ইউপি সদস্যের অসংখ্য অসহায় মানুষের নামে কার্ড তৈরী করে নিজের লোকের মাধ্যমে চাল চুরির বিষয়টি গোচরে আসে।

কহিনুর বেগম অভিযোগ করে জানান, আমার স্বামী ১০ বৎসর ধরে প্যারালাইজড। কাজ করতে পারে না। অভাব অনটনে সংসার চলে।  ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান আমার নামে একটি ভিজিডি চালের কার্ড করে দিতে চায়। এ বাবদ সে আমার কাছ থেকে ২ হাজার টাকাও নেয়। পরে আমার নামে কার্ড হয়নি জানায়ে সে টাকা ফেরত দিয়ে দেয় । কয়েকদিন আগে সে আমাকে আমার নামে ১৫মাস চাল ওঠানো একটি ভিজিডি কার্ড দিয়ে বলে তুমি এ বারের মত আমারে বাাঁচাও। সামনে বছর তোমারে আবারো কার্ড করে দেব। তোমার চারআনাও লাগবে না। কার্ডে দেখা যায় তিনি বা তার সহযোগি কেউ এ কার্ড ব্যবহার করেই আমার নামে ১৫মাসধরে অন্তত ৪শ৫০ কেজি চাল আত্মসাত করেছেন।

ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান চাল আত্মসাতের বিষয়টি  স্বীকার করে বলেন, যে চাল নিয়েছি তা ফেরত দিয়ে দেব।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান জানান, ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাগুরা/ ২৩ এপ্রিল ২০২০