বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তা
মাগুরার মহম্মদপুরে উপজেলা পরিষদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের গ্রামীণ রাস্তার সেতু কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পে ১০টি প্রকল্পে সিডিউল বিক্রি বাবদ ৭লাখ ৭৫ হাজার টাকা তসরুপের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মহম্মদপুর উপজেলার হাসান মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি দুদক চেয়ারম্যান বরাবরে মুল খাতা ও বিকল্প খাতা ও ব্যাংকে জমা চালানের কপিসহ একাধিক প্রমাণ সংযুক্ত করে অভিযোগে জানান – গত অর্থবছরে জুলাই মাসে ওই প্রকল্পগুলিতে পিআইও মমিনুল ইসলাম মোট ১৫৫ জন ঠিকাদারের কাছে ১৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা সিডিউল বিক্রি করেন। সিডিউল বিক্রয় করার সময় তিনি খাতায় সিডিউল ক্রেতাদের নামের বিপরীতে টাকার অংক ও স্বাক্ষর গ্রহণ করেন। কিন্তু সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দেয়ার সময় চালানে মাত্র ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৫শ টাকা জামা করেন। এ সময় তিনি কৌশলে কোন সই ছাড়া ১১৬ জন ঠিকাদারের তালিকা সম্বলিত একটি বিকল্প খাতা তৈরী করেন। যার ফলে সরকারের ৭ লাখ ৯৫হাজার ৫শ টাকা তিনি তসরুপ করেন বলে অভিযোগে জানা যায়।
তথ্য অনুসন্ধান করে জানা গেছে- পিআইও মমিনুল ইসলাম তার চাকরির স্থলে নানা অনিয়ম চালাতে আপন ছোটভাই নয়ন মিয়াকে এনে রেখেছেন। সরকারি চাকরি না করা সত্বেও পিআইও অফিসের বিভিন্ন প্রকল্প ছোটভাই নয়ন ও একই অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারি জনৈক মকবুল হোসেনকে দিয়ে দেখাশোনা করান। এদের মাধ্যমেই তিনি ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা আদায়, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নাম ঢুকিয়ে দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়াসহ সকল ধরনের অনিয়ম পরিচালনা করে থাকেন।
এ প্রসঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম দূর্নীতির বিষয়টি অস্বীকার করে জানান- ওই সময় নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে টেন্ডার হয়েছিল। নেগোসিয়েশবোর্ডে যারা ছিলেন তারাই বিষয়টি বলতে পারবে কি হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে মহম্মদপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান জানান- ওই ঘটনার সময় আমি মহম্মদপুরে কর্মরত ছিলাম না। আমি গত ডিসেম্বরে মহম্মদপুরে যোগদান করেছি। বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।
রূপক /মাগুরা / ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০