পংকজ রায়, মাগুরাবার্তা
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড চত্তরের দীর্ঘদিনের কাংখিত সংস্কার কাজ বন্ধ করে দেয়ায় এলাকাবাসির মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।   বৃহস্পতিবার দুপুরে বাসস্টান্ড এলাকায় তারা এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করেন। তবে উন্নয়ন কাজ নয়, জেলা পরিষদের সম্পত্তি রক্ষায় বিনা অনুমতিতে স্থাপনা তৈরীরই বিরোধীতা করা হয়েছে বলে জানান পরিষদ চেয়ারম্যান পংকজ কুন্ডু।

জানা গেছে, মাগুরা থেকে মহম্মদপুর পর্যন্ত সড়ক ও জনপথের এ সড়কটি সংস্কারের জন্য মোজহার এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কাজের অংশ হিসেবে উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড চত্তরটি সংস্কারের বিষয়টি উল্লেখ থাকে। যার বরাদ্দ ধরা হয় ৪২ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার বাসস্ট্যান্ড চত্তর সংস্কারের সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু এসে কাজে বাঁধা দেন।

এলাকাবাসী ও অটো-রিক্সা, ভ্যান শ্রমিকরা জানান, বাসস্ট্যান্ড এলাকার মাত্র ২০০ গজ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত রয়েছে। পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানিতে বর্ষাকালে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বাজারের নোংড়া আবর্জনা ও পঁচা কাঁদা-পানিতে সয়লাব হয়ে থাকে প্রায়ই। সদরের প্রবেশদ্বার এ সড়কটি সবাইকে ব্যবহার করতে হয়। ফলে, উপজেলা শহরে যাতায়াতকারী স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অটো-রিক্সা, ভ্যানসহ স্থানীয় লোকজনের চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়কটি মেরামত চলমান থাকলেও বাঁধা পড়ায় আবার পূর্বে অবস্থানে ফিরে আসবে। সাবেক পলাশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম রেজাউল কমির চুন্নু ও উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী কানু তেওয়ারীসহ স্থানীয় কয়েজন সংস্কার কাজ বন্ধ করায় প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ কাঁদা পানি মাড়িয়ে চলাচল করেছি। আমাদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকসই রাস্তার প্রকল্প দিয়েছেন। কিন্তু সম্মানীত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসে কাজটি বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে আমাদের আবার দুর্ভোগ পোহাতে হবে। আমরা এর দ্রুত সমাধান চেয়ে কাজটি সম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছি।

মাগুরা সড়ক ও জনপথের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মতিয়ার রহমান   জানান, বাসস্ট্যান্ড চত্তরটি টেকসই সংস্কারের জন্য কাজ চলমান অবস্থায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু একটি সীমানা দিয়ে সীমানার বাইরের অংশে কাজ বন্ধ করতে বলেছেন এবং বাইরের অংশে ইটের সলিংসহ এইচবিবি দেওয়ার জন্য বলেছেন।

এ ব্যাপারে মাগুরার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু বলেন, কোন প্রকার অনুমতি না নিয়ে জেলা পরিষদের সীমানার মধ্যে উন্নয়ন কাজ হচ্ছে জেনে আমি পরিদর্শন করে কাজটি বন্ধ করতে বলেছি। জেলা পরিষদের সম্পত্তিতে কোন উন্নয়ন কাজ করতে হলে প্রয়োজনীয় নিয়ম কানুন মেনেই করতে হবে। এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

মাগুরা/ ২৫ অক্টোবর ১৯