স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরাবার্তা
দুই বছর পাচ মাস আগে যশোরের নোয়াপাড়া থেকে চুরি যাওয়া একটি ডিসকাভার ১৩৫ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধারের পর সেটির প্রকৃত মালিকের সন্ধান করে তাকে বুঝিয়ে দিলো মাগুরা সদর থানা পুলিশ। দির্ঘদিন পর চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল ফেরত পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন মালিক মনিরুজ্জামান।এমন সফলতার জন্য মাগুরা পুলিশকে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।

মাগুরা সদর থানা পুলিশের  অফিসার এস আই আলমগীর হোসেনের বিশেষ অবদানে প্রায় আড়াই বছর আগে যশোরের অভয় নগর থানার নোয়াপাড়া হতে চুরি যাওয়া একটি ডিসকাভার ১৩৫ মোটরসাইকেল উদ্ধার করে তার প্রকৃত মালিককের সন্ধান করে তাকে ফেরত দেয়ার মতো অসাধারণ কাজটি সফলভাবে সম্পুর্ণ করেছে মাগুরা সদর থানা পুলিশ।  ১১ ই জুন মঙ্গলবার বিকালে সদর থানা চত্বরে মোটরসাইকেলের মালিক নোয়াপাড়ার মনিরুজ্জামানকে অক্ষত অবস্থায় বুঝিয়ে দেয়া হয়। এ সময় মালিক মনিরুজ্জামান তার হারয়ে যাওয়া শখের মোটরসাইকেলটি ফেরত পেয়ে আবেগে আপ্লুত  হয়ে পড়েন।

মনিরুজ্জামান জানান, ২০১৭ সালের জানুয়ারীর প্রথম দিকে স্থানীয় স্কুল মাঠে সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠান চলাকালিন মাঠের বাইরে থাকা তার নিজ নামের ব্যাবহিত শখের লাল ডিসকাভার মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে যায়। সে সময়ে এ বিষয়ে থানায় জিডি করাসহ অনেক খোজাখুজির পর না পেয়ে সেটি পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি মাগুরা সদর থানার এস আই আলমঙ্গীর হোসেন পরিচয়ে তাকে ফোন দিয়ে মোটরসাইকেলটির খোজ পাওয়ার কথা জানালে প্রথমে বিষয়টি বিশ্বাস করেননি তিনি। পরে খোজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা  জানতে পেরে ছুটে আসেন মাগুরা থানায়। নিজের মোটরসাইকেল অক্ষত অবস্থায় দেখে চিহ্নিত করে হতবাক হন তিনি। এর পর সঠিক যাচাই বাছাই শেষে আদালতের নির্দেশে আজ সেটি নিজ জিম্মায় বুঝে পেয়ে সিমাহীন আনন্দে আত্বহারা হন তিনি। এ সময় এমন অসাধারণ সফলতার এক দৃষ্টান্ত স্থাপনে বিশেষ আন্তরিকতা ও কৃতিত্বের জন্য মাগুরা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

এ বিষয়ে সদর থানার এস আই আলমগীর হোসেন জানান, এ বছর এপ্রিলের শেষের দিকে পারলা বিশ্বাস পাড়ায় হাসিবুল ইসলাম নামে এক ব্যেক্তির বাড়িতে অভিযান পরিচালনার সময় সন্দেহজনক ভাবে ফরিদপুর-ল-৫৪৬২ নম্বারের লাল রঙের ডিসকাভার ১৩৫ মোটরসাইকেলটি আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে এটির যাবতীয় কাপত্রসহ হাজির হতে বলা হলে মোটরসাইকেলের দাবীকৃত মালিক নিজে না এসে লোক মারফত কাগজ প্রেরন করেন। এতে তার সন্দেহ আরও বেড়ে যাওয়ায় তিনি ফরিদপুর বি, আর টি এর নিকট রেজিষ্ট্রেশনের সঠিক তথ্য যাবাই বাছাইয়ের জন্য প্রেরন করলে সেটি সঠিক নয় বলে জানান তারা। এর পর বিষয়টি এখানেই শেষ না করে এটির প্রকৃত মালিকের সন্ধানে নেমে মাগুরা বি,আর টি এর সহোযোগিতায় গাড়ির ইঞ্জিন ও চ্যেসিস নাম্বারের মাধ্যমে যশোর- ল- ১১- ২৮১৩ রেজিষ্ট্রেশন নাম্বারকৃত  গাড়ির আসল মালিককে খুজে বের করতে সক্ষম হন তিনি। এর পর ফোনে যোগাযোগ করে তাকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি মাগুরায় এসে চিহ্নিত করলে যাবতীয় প্রমান সাপেক্ষে আদালতের মাধ্যমে গাড়িটি তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। সেই সাথে গাড়িটির মালিকানা দাবি করে ভুয়া কাগজপত্র প্রেরনকারি পারলা গ্রামের হাসিবুল ইসলামসহ ফরিদপুর শহরের আউলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল চুরি, জালিয়াতি ও প্রতারনার দায়ে একাধিক ধারায়  মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, মাগুরা সদর থানার চৌকস পুলিশ অফিসার এস আই আলমগীর তার বিশেষ  দক্ষতার জন্য একাধিকবার জেলা পুলিশের  শ্রেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক হিসবে নির্বাচিত হবার স্বীকৃতি অর্জন করেছেন।