রূপক আইচ, মাগুরাবার্তা
বৃষ্টি উপেক্ষা করে সংগীত শিল্পী নোবেলের অনবদ্য পরিবেশনায় রবিবার সন্ধাটি ছিল মাগুরার বিপুল উৎসব আর উদ্দীপনাময়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে সেদিন সন্ধ্যা থেকেই শহরের নোমানী ময়দান ছিল দর্শক শ্রোতায় কানায় কানায় পূর্ণ। প্রথমে জেলা শিল্পকলা একাডেমী ও জেলা শিশু একাডেমীর শিল্পীরা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করে। পরে মঞ্চে উঠেন প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী জিনাত জাহান মুন্নি। তিনি একে একে ৬টি গানে মুখরিত করে রাখেন দর্শকদের। এর পরই মঞ্চে আসেন ভারতের জনপ্রিয় বাংলা চ্যানেল জি বাংলার রিয়েলিটি শো সারেগামাপা খ্যাত বাংলাদেশী শিল্পী মইনুল আহসান নোবেল। শুরুতেই নোবেলকে নো….. বেল। অর্থাৎ যতক্ষণ না দর্শকের আশা মিটবে ততক্ষণ কোন বেল বা মুক্তি নেই বলে হাস্যরসের সৃষ্টি করেন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এমপি) তারিকুল ইসলাম। এরপর স্বভাবসুলভ মৃদুকন্ঠে সালাম জানিয়ে নোবেল প্রথমে শুরু করেন ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে’,  ‘হাসতে দেখ গাইতে দেখ’  থেকে শুরু করে একাধিক গান। ততক্ষণে মাঠের ৩০ হাজার দর্শকদের মধ্যে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছাস। নোবেলের সঙ্গে একটু হাত মিলাতে ভক্তদের উন্মাদনা যেন মাগুরার নোমানি ময়দানে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল। তবে বাধ সাধলো প্রকৃতি। হঠাৎ আকাশ কালো করে নামলো বজ্রবৃষ্টি। কিন্তু সংগীত পাগল মাগুরার দর্শকদের ঠেকায় কে।

20190317_210244(1)বৃষ্টি উপেক্ষা করেই শিশু থেকে যুবক সকল বয়সের দর্শক উভভোগ করতে থাকেন নোবেলের একের পর এক পরিবেশনা। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা জেলা প্রশাসক আলী আকবর, পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রিজওয়ান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক পংকজ কুন্ডু, পৌর মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকনসহ জেলা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

মাগুরা/ ১৮ মার্চ ১৯