রূপক আইচ, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মাগুরার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অত্যন্ত প্রিয় মুখ নাটক ও নাচের মঞ্চের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমী ও বিনয়ী শিল্পী বাবুল মৃধার চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসছেন সমাজের সচেতন ও সংস্কৃতি প্রেমী মানুষ। গত বছর মরণব্যাধী ক্যান্সার থেকে চিকিৎসা নিয়ে বেঁচে আসার পর বাবুল সম্প্রতি আবার অসুস্থ হয়ে পরেছে। তার পেটের নাড়িতে একটি টিউমার ধরা পরেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়ার পর তার পেটে অপারেশন সম্পন্ন হয়। কিন্তু অপারেশনের পর তার পেটের নাড়িতে ইনফেকশন দেখা দেয়। এ অবস্থায় তার চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৮/১০হাজার টাকার ওষুধ প্রয়োজন হচ্ছে।  বাবুলের চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন, সাংস্কৃতিক কর্মী, সুধি সমাজসহ অনেকেই এগিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদ বাবুলের ঢাকা মেডিকেলে ভর্তিসহ অপারেশনের আগের ওষুধ সরবরাহ করেছে।  কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন,  কেন্দ্রীয় নেতা প্রবীর সরদারসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নিয়মিত সহযোগিতা ও খোঁজখবর নিচ্ছেন । মাগুরা জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমানের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায়  ঢাকা মেডিকেল কলেজ সমাজ সেবা বিভাগ থেকে ইতিমধ্যে বাবুলকে ১০ হাজার টাকার ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। মাগুরা জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি মমতাজ বেগম ব্যক্তিগতভাবে বাবুলের চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা প্রদান করেছেন, মাগুরার ব্যায়াম ভিত্তিক সামাজিক সংগঠন সুপ্রভাত বাংলাদেশ এর সদস্যরা বাবুলের চিকিৎসার জন্য ৫হাজার টাকা দিয়েছেন,  মাগুরার পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান তার জাকাতের টাকা থেকে ২ হাজার টাকা বাবুলের চিকিৎসার জন্য অনুদান দিয়েছেন।

কিন্তু বাবুলের চিকিৎসার জন্য আরো অর্থের প্রয়োজন । প্রতিদিন তার  ৮/১০হাজার টাকার ওষুধ প্রয়োজন হচ্ছে।  এ অবস্থায় তার পরিবার ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের পক্ষে সকলের কাছে আবেদন  বাবুলকে বাঁচাতে এগেয়ে আসুন। বাবুল আবার ফিরে আসুক আমাদের মঝে। সামান্য কিছু টাকার জন্য আমরা যেন বাবুলকে হারিয়ে না ফেলি।

বাবুল মাগুরা জেলা শিল্পকলা একাডেমীর নৃত্য প্রশিক্ষক ও জেলা উদীচীর এক সময়ের নৃত্য বিভাগের  সম্পাদক ও নাট্যকর্মী।

বাবুল বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ২২০ নং ওয়ার্ডের ১০নং বেডে আছে । বাবুলের ফোন ও বিকাশ নং-০১৭১৯-৯৭৩৯২৪ (স্ত্রী ধরবে)।

৬ thoughts on “আমরা কি পারি না বাবুলকে মৃত্যু দুয়ার থেকে ফিরিয়ে আনতে ?

Comments are closed.