শ্রীপুর প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর গ্রামে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত: ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে জসীম শেখ (২৮) নামে একজনকে আশংকা অবস্থায় মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় ২০ টি বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৯ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। গত সোমবার রাত ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সব্দালপুর গ্রামের আওয়ামীলীগ কর্মি সাব্বির হোসেন মোল্ল্যা ও বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান ও আওয়ামীলীগ নেতা আইয়ুব হোসেন খাঁন এর-সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত পাঁচদিন পূর্বে সাব্বির-এর সমর্থক রইচ-এর সাথে তার প্রতিপক্ষ কালামের হাতাহাতি হয়। এর একদিন পরে রইচ কালামকে মারধর করে। পরে সুযোগ বুঝে কালামও রইচকে বেধরক মারধর করে। এ ঘটনার জেরে গত সোমবার সন্ধ্যায় সব্দালপুর বাজারে রইচ তার লোকজন নিয়ে কালাম সহ তার ৫/৬ জন সমর্থককে মারধর করে। এ ঘটনায়  উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাত ১১ টার দিকে পুনরায় মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় অন্তত: ১০ জন কম-বেশি আহত হয়। ঘটনার সময় ২০ টি বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খায়। এসময় পুলিশ ১৯ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে পুরস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষই পরস্পরকে দায়ী করেছে। আওয়ামীলীগ কর্মি সাব্বির হোসেন মোল্ল্যা বলেন, বিএনপি নেতা হাফিজের সাথে আমার দ্বন্দ্ব। তার লোকজন অন্যায়ভাবে আমার সমর্থকদের ৫/৬ টি বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ আইয়ুব হোসেন খাঁন বলেন, প্রায়ই সাব্বিরের লোকজন আমার লোকজনের উপর চড়াও হয়ে মারধর ও ঘরবাড়ি ভাংচুর করে। গত সোমবার রাতেও তারা অন্যায়ভাবে আমার লোকজনকে মারপিট ও ১৫ টি বাড়িঘর ভাংচুর করেছে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি মো: মাহাবুবুর রহমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় মামলা দেয়নি।