তাছিন জামান,  মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
শতভাগ আওয়ামী পরিবারের সন্তান মাগুরার মহম্মদপুরের প্রিয়মুখ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সফল সাংগঠনিক সম্পাদক শওকতুজ্জামান সৈকতকে  এবার সম্মেলনে সভাপতি পদে চাচ্ছেন দেশের আপামর ছাত্রনেতারা।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে যখন ছাত্রলীগের অনেক নেতার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল তখনও রাজপথে সক্রিয় ছিলেন   শওকতুজ্জামান সৈকত । শান্ত সদালাপী, হাস্যোজ্জ্বল ও কর্মীবান্ধব এ নেতা ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্বের কারণে ছাত্র-শিক্ষকসহ সব মহলে হয়েছেন জনপ্রিয়। বর্তমান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ  তথ্য ও  প্রযুক্তি বিষয়ক  সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।  সম্প্রতি  মাগুরাবার্তার  সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় উঠে এসেছে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে তার ভাবনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকার  নিয়েছেন মাগুরাবার্তার  স্টাফ রিপোর্টার তাছিন জামান।

মাগুরাবার্তা: কেন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের এই তরুণ নেতা বলেন, আওয়ামী পরিবারে জন্মগ্রহণ করার সুবাদে  ছোট বেলা থেকেই পরিবারে কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা শুনতাম। সেই ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান এবং সর্বশেষ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ত্যাগ-তিতীক্ষার কথা শুনতাম। বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম ও সাহসী গল্পগুলো শুনে অধীর আগ্রহে আরো শোনার জন্য ব্যাকুল হয়ে যেতাম। পরবর্তীতে আমার চাচা এস কে নুরুজ্জামান  ও বাবা তাহাজ্জত হোসেন মাষ্টারে এর কাছে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের অনেক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথাও শোনার সুযোগ আমার হয়েছে। তারা সবাই পরামর্শ দিয়েছিলেন, রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হলে অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর আদর্শই যেন লালন করি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে  সক্রিয় ভাবে জড়িয়ে পড়েন।সৈকত বলেন তারপর থেকে দলের সঙ্কটে, সুসময়ে ও দুঃসময় সবসময় পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। মূল্যায়নও পেয়েছি। সর্বশেষ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক  সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আমাকে। আমি বিশ্বাস করি জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ মেধা পরিশ্রম দিয়ে এই সংগঠনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং  যাবো।

মাগুরাবার্তা: রাজনীতিতে আপনার পরিবারের কী স্বর্ণালী ইতিহাস রয়েছে? এমন জিজ্ঞাসার প্রতি উত্তরে তিনি জানান,

তার পরিবার বরাবরই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। মুক্তিযুদ্ধের সময় বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তার বাবা প্রয়াত তাহাজ্জত হোসেন মাস্টার। তিনি মহম্মপুরের বলরামপুর  সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী এ ব্যক্তি ৯৪ সালের জাতীয় সংসদ উপ নির্বাচনে মহম্মদপুরের লক্ষীপুরে শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে ৫২হাতের বিশাল নৌকা এলাকাবাসী কে সঙ্গে নিয়ে নিজ উদ্যেগে তৈরি করেছিলেন। আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তখন  ৫২ হাতের নৌকায় দাড়িয়ে পথ ভাষণ দেন এবং সভা সম্পন্ন করেন। ওই ঘটনার পর বিএনপি জামাত জোট সরকারের রোষাণলে পড়ে দীর্ঘদিন অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছে আমার পরিবার।

পরিবারের রাজনীতি সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানাতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, আমার বাবা প্রয়াত তাহাজ্জত হোসেন মাষ্টার  বিশিষ্ট সমাজ সমাজ ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ছিলেন।  ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে আসছেন। আমার চাচা এসকে নুরুজ্জামান  মাগুরা হোঃ শঃ সোঃ কলেজের  নির্বাচিত সাবেক জি এস ছিলেন। বর্তমান তিনি মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বড় ভাই ফরিদুজ্জামান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায় ছাত্রলীগের সাবেক সহ – সভাপতি ছিলেন এবং চাচাতে ভাই মফিজুর রহমান মফিজ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। আমার বোন শেখ শিউলি আরা ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক স্বাস্থ বিষয়ক সম্পাদক।

আগামীকাল (১১ ই মে) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন শেষ মুহূর্তে আলোচনা  বাড়ছে, কারা হচ্ছেন এই ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনের আগামীদিনের কর্ণধার।

জানা গেছে, তৃণমূলে সবচেয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছেন শওকতুজ্জামান সৈকত ।

যেকোন ছাত্রলীগ কর্মী বিপদে পড়লেই ছুটে আসেন আসেন তাদের প্রিয় শওকতুজ্জামান সৈকত এর কাছে। FB_IMG_1525485674158

সৈকত এক মানবিক নেতা হিসাবে সকলের নিকট পরিচিত পেয়েছে। যেকোন মানবিক কাজে সবার আগে দৌড়ে যান তিনি। কারন তিনি মনে করেন সবার উপরে আমরা মানুষ। দেশের সাধারণ মানুষের যেকোন বিপদে তিনি তার সাধ্যমত চেষ্টা করেন কিছু একটা করার জন্য, যদি নিজে না পারেন তাহলে কোন না কোন উপায় বের করে দেন সমাধানের।

সবকিছু নিয়ে সামগ্রিকভাবে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে এই ছাত্রনেতা জানান, ‘রাজনীতি করি একটি আদর্শের জায়গা থেকে। সেই আদর্শ থেকে যে শিক্ষাটা পেয়েছি সেটা হলো মানুষের জন্য কাজ করা। মানুষের পাশে দাঁড়ানো। মানুষের উপকারে নিজেকে নিয়োজিত করা। তাই যখনই সুযোগ আসে চেষ্টা করি ভালো কাজের সাথে নিজেকে যুক্ত রাখার। – সকলের দোয়া থাকলে ইনশাআল্লাহ সামনের দিনগুলোতেও ভালোকাজ চালিয়ে যাবো।’

FB_IMG_1524995800341

সৈকত আরো বলেন “বাস্তবিক পক্ষে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আমাদের প্রাণ প্রিয়  নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল কর্মকান্ডে সক্রিয় ভাবে জড়িত আছি। ভিশন  ২০২১ ও ৪১ বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।সকলের কাছে আমি দোয়া প্রার্থনা করছি।

রূপক/মাগুরা/১০ মে ১৮