মাগুরার প্রিয় মুখ, সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের প্রিয় শিক্ষক খান শফিউল্লাহ ও তার ৩ সহকর্মী রবিবার (১৭ ডিসেম্বর ১৭) বেরিয়েছেন নেপাল, ভুটান ও ভারত ভ্রমণে। তাঁদের এই ভ্রমণের সংক্ষিপ্তসার তিনি প্রতিদিন জানাচ্ছেন মাগুরাবার্তার পাঠকদের। প্রিয় শিক্ষকের ভ্রমণে সঙ্গী হবো আমরা। মাগুরাবার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি শুভ কামনা। নেপাল থেকে শুক্রবার পৌঁছেছেন ভূটান। আজ ভুটান থেকে জানিয়েছেন ৮ম দিনের ভ্রমণ বৃত্তান্ত…..
খান শফিউল্লাহ…. টাইগার নেস্ট আমাদের আজকের মিশন। পারো থেকে দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭। ভোর ৬:০০ টায় বিছানা ছেড়েই সব প্রস্তুতি সেরে নিলাম। আজ সকাল থেকেই পারোর আকাশ রৌদ্রকরোজ্জ্বল। তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৭:৩০ টায় নাস্তা সেরে রওনা হলাম টাইগার নেস্ট এর উদ্দেশ্যে। স্টাটিং পয়েন্টে পৌছে সব আনুষ্ঠানিকতা সেরে ৮:৪৫ টায় ট্রেকিং শুরু হলো। পাহাড়ের গা বেয়ে আকাবাকা দুর্গম পথ ধরে এগিয়ে চলেছি গাইডের সাহায্যে। পাহাড়ে উঠতে প্রচন্ড মানসিক শক্তি আর ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। সাড়ে তিন ঘন্টা ট্রেকিং করে অবশেষে আমরা ৩০০০ ফিট উচ্চতায় পাহাড়ের চূড়ায় স্থাপিত টাইগার নেস্ট (Taktsang temple) টেম্পলে পৌছলাম। Taktsang temple স্থাপিত হয় ১৬৯২ সালে। এই টেম্পলটি গুরু পদ্ম সম্ভাবা এর নামে উৎসর্গ করা হয়। জনশ্রুতি আছে গুরু পদ্ম সম্ভাবা এই টেম্পলে তিন বছর তিন মাস তিন সপ্তাহ তিন দিন ধ্যান মগ্ন ছিলেন। টেম্পলের পাস ঘেষে রয়েছে একটি অপরূপ প্রাকৃতিক ঝর্ণাধারা। ঝর্ণার অবিরাম জলধারা টেম্পল থেকেও প্রায় ১০০০ ফিট উঁচু থেকে ঝম ঝম শব্দে পতিত হচ্ছে। টেম্পল পরিদর্শ শেষ। এবার ফেরার পালা। পাহাড়ে ওঠা যত কঠিন, পাহাড় থেকে নামা তার চেয়েও বেশি কঠিন। বাস্তব অভিজ্ঞতায় হাতে নাতে তার প্রমাণ পেলাম। অবশেষে নিরাপদে ফিরে এলাম স্টাটিং পয়েন্টে। ড্রাইভার কারমার জিপে আমরা হেটেল পারোতে এসে মধ্যাহ্ন ভোজন করলাম। এর পর রওনা হলাম থিম্পুর উদ্দেশ্যে। দুই পাশে পাহাড়। মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে পারো নদী। নদীর কোল ঘেষে থিম্পু সড়ক। নদী আর পাহাড়ের নয়নাভিরাম দৃশ্য উপোভোগ করতে করতে কখন যে ৬২ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে থিম্পু পৌছে গেছি বুঝতেই পারি নি। থিম্পুতে এসে হোটেল নেমোতে উঠলাম। শেষ হলো আমাদের আজকের ভ্রমণ।