বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
সদরের চাউলিয়া ইউনিয়নের  পদ্মবিলের মাঝে প্রত্যন্ত গ্রাম পদ্মনগর। এখানে বসবাস ২২/২৩ টি পরিবার। গ্রামের সবখানেই দারিদ্র আর অবহেলার ছাপ।  গ্রামে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি কাঁচা।  এবড়ো থেবড়ো এ রাস্তায় সরকারি কর্মকর্তারা শেষ কবে গেছেন বলতে পারেন না এলাকাবাসি। এ গ্রামে এখনও বিদ্যুৎ পৌছেনি। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর সহযোগিতা পান এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া গেলনা শেষ বিকেলে।  এ পথেই সন্ধের আগে গিয়ে দেখা মিলল বেশ কিছু বৃদ্ধ-বৃদ্ধা।  এর মধ্যে বৃদ্ধা আইনা খাতুন এর বয়স প্রায় ৭০। কানে শোনেন না। চোখেও কম দেখেন। সরকারি কিংবা বেসরকারি তেমন কোন সাহায্য এর আগে তেমন পাননি। আর সাহায্য আনতে শহরে কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যাওয়ার সামর্থও তার নেই। এ গ্রামের  অধিকাংশ মানুষেরই দিন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা।  এ অবস্থায় মাগুরার ঐতিহ্যবাহি সামাজিক সংগঠন সুপ্রভাত বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে শনিবার বিকেলে ওই গ্রামে যাওয়া হয় শীতের কম্বল বিতরণে। সংগঠনের সদস্যদের অনুদানে কেনা এ কম্বল পৌঁছে দেয়া হয়  আইনা খাতুন, মো নাসির, সরিফা খাতুন,নিছার শেখ, ওহাব মোল্যা, কিরিনা খাতুনসহ বেশ কিছু শীতার্ত মানুষের মাঝে।

নতুন কম্বল হাতে পেয়ে এ গ্রামের বাসিন্দা শরিফা খাতুনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান- আমরা গ্রামের মুখ্য সুখ্য মানুষ। আমাগের জন্যি কেউ এভাবে কম্বল নিয়ে আসেনা। তাই আমরা এসব কম্বল পাইও না। আজকে আপনার যে কম্বল  আমাদের না চাইতেই দিলেন। এজন্য আপনাদের জন্যি নামাজ পড়ে আমরা দোয়া করবো। তিনি আরো বলেন-  আমাগের এখানে নেতারা আসেন শুধু ভোট নিতি। কিন্তু আপনার কোন ভোটের আশায় না  আইসে যে আমাগের কাছে এমনি এমনি কম্বল দিয়ে গেলেন। এজন্য আপনাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ থাকলাম। 2

সুপ্রভাত বাংলাদেশের সহ সভাপতি ফারুক রেজা ঝন্টু ও সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন জানান- সুপ্রভাত একটি ব্যায়ামভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনের সদস্যরা প্রতিবছর নিজেদের টাকায় কম্বল কিনে শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করে থাকে। এ বছরও তারা কম্বল নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামের অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করছে। সাধারণত যেসব এলাকায় সরকারি সহায়তা ঠিকমত পৌছেনা সেখানেই তারা সংগঠনের সদস্যদের মাধ্যমে এ সহযোগিতা পৌছে দিচ্ছেন।

রূপক/মাগুরা/ ২৩ ডিসেম্বর ১৭