বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন (সদরের একাংশ-শ্রীপুর) থেকে আওয়ামীলীগের পক্ষে নৌকা মার্কা প্রতীকে মনোনয়ন চান কাজী রফিকুল ইসলাম। এজন্য তিনি ইতিমধ্যে এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে জনসংযোগ করছেন।

    জনাব রফিক জানান- দেশ এখন এক স্বর্ণ সময় অতিক্রান্ত করছে। উন্নয়নের মহোৎসবের এই মহেন্দ্রক্ষণে সৎ নিবেদিতপ্রাণ যোগ্য নেতৃত্ব অত্যন্ত জরুরী। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সম্পূর্ণ ক্লীন ইমেজের নেতৃত্ব প্রয়োজন।
তিনি বলেন- বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সোনার বাংলা গড়তে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার নিয়ে মরহুম এ্যাড. আসাদুজ্জামান এমপি, মরহুম আলতাফ হোসেন, এ্যাড. আবুল খায়ের, মরহুম আমজাদ হোসেন, বাবু নন্দ দুলাল বংশীসহ অনেক ত্যাগী ও আদর্শ নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে আমি রাজনীতি শিখেছি। আমার ছাত্র রাজনীতির সময়ে ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি ওবায়দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক বাহালুল মজনুন চুন্নসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের ত্যাগ ও ভালবাসাই আমাকে রাজনীতিতে আষ্টে পৃষ্টে বেঁধে ফেলেছে। যেখানেই থেকেছি চেষ্টা করেছি মানুষের সেবায় কাজ করতে। তাদের রক্ত ঋণ শোধ করতেই রাজনীতিতে ভূমিকা রাখতে চাই। তৃণমূল মানুষের সুখ-দুঃখ, আনন্দ বেদনার কন্ঠস্বর আমি অত্যন্ত কাছে থেকে দেখেছি। তাই আমি মনে করি মাগুরা-শ্রীপুরের উন্নয়নে আমি সবাচেয়ে বেশী অবদান রাখতে পারবো।  18268353_10154666702329779_5272500300574878383_n
সাবেক ছাত্রলীগনেতা কাজী রফিকুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকাস্থ বৃহত্তর যশোর সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ছাত্রলীগের মাগুরা জেলা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন তিনি। দলের এ একনিষ্ঠ ও ত্যাগি নেতা মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার বরিষাট গ্রামে ১৯৬৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৪ সালে মাধ্যমিক স্কুলে অধ্যয়নরত অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগে হাতে খড়ি। 13254504_1226632664027652_7899256198351232687_n১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শ্রীপুর থানা শাখার সহ-সভাপতি ও মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য হন। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শ্রীপুর থানা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ মাগুরা জেলার শাখার ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে কেন্দ্রীয় যুব সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সদস্য হয়ে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ২০০১ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপি গণ-আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কারা মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। কাজী রফিকুল ইসলাম রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তিনি বাংলাদেশ কেমিষ্টি এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী পরিষদের সদস্য, ঢাকাস্থ বৃহত্তর যশোর সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর যশোর উন্নয়ন ও বিভাগ বাস্তবায়ন সোসাইটির সহ-সভাপতি, ঢাকাস্থ মাগুরা জেলা সমিতির উপদেষ্টা। তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ঢাকাস্থ মাগুরা জেলা যুব কল্যাণ সমিতির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। কাজী রফিকুল ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মাগুরা জেলা যুব কল্যাণ সমিতির সাধারণ সস্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৮থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ঢাকাস্থ মাগুরা জেলা যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমেও অত্যন্ত সক্রিয় কাজী রফিকুল ইসলাম আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশী হিসেবে ইতিমধ্যেই প্রচার চালাচ্ছেন।

রূপক আইচ/মাগুরা/ ১৮ সেপ্টেম্বর১৭