পংকজ রায়, মহম্মদপুর
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বেড়েছে পোল্ট্রি খাদ্যের দাম। এতে তৃণমূলের উদ্যোক্তারা দিশেহারা । চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের পোল্ট্রি শিল্পে। প্রাণীজ খাদ্যের কাঁচামালের লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধিতে দিশেহারা এ খাতের উদ্যোক্তারা। উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় মাংস ও ডিম বিক্রি করে পুঁজির টাকা তোলা কঠিন হয়ে পড়েছে, ফলে লোকসানের শঙ্কায় খামারিরা। এ অবস্থায় শিল্পকে বাঁচাতে সরকারি সহায়তা চাইছেন সংশ্লিষ্টরা। পোল্ট্রি এবং মৎস্য ও পশুখাদ্যের উৎপাদনের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, করোনা মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে পোল্ট্রি, মৎস্য ও গবাদিপশুর খাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামালের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দেশে পোল্ট্রি খাতে বছরে ফিডের চাহিদা ৮০ লাখ টন। যার প্রায় পুরোটায় সরবরাহ করে দেশের ফিড মিলগুলো। কিন্তু কাঁচামালের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে ঝুঁকিতে পড়েছে এ খাতের উৎপাদন। পোল্ট্রি ফিডের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সিংহভাগই আমদানি নির্ভর। চড়া আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাবে দেশেও বাড়ছে দাম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়ন্ত্রণহীন বাজারের কারণে এরইমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কিছু ফিড মিল। খামারিদের দাবি, পোল্ট্রি শিল্পে চ্যালেঞ্জ তৈরি হলেও পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ অসম্ভব নয়। সংকট উত্তরণে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এ খাতে কর অবকাশ সুবিধার দাবি তাদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ‘মহম্মদপুর উপজেলার প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারীরা’ দেশে নিবন্ধিত ফিড মিলের সংখ্যা ২৮১টি আর অনিবন্ধিত মিলিয়ে মোট ফিড কারখানা রয়েছে ৪০০টি। এসব ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগের পরিমাণ ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা। কাঁচামালের দাম বৃদ্ধিতে কারসাজি করছেন কিছু ব্যবসায়ী ও আমদানিকারক। আন্তর্জাতিক বাজারে দর বৃদ্ধির অজুহাতে দেশীয় বাজারে অযৌক্তিকভাবে কাঁচামালের দর বৃদ্ধি গ্রহণযোগ্য নয়। সংকট আরো ঘনিভূত হলে মহম্মদপুর পোল্ট্রি শিল্পের প্রান্তিক খামারীদের জীবন ও জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সরকারের সহায়তা চেয়ে আজ রবিবার মহম্মদপুরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে পোল্ট্রি খামারিবৃন্দ।

মাগুরা/ ৩ এপ্রিল ২২