বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মাগুরার শ্রীপুরের বরিশাট গ্রামে সৎ মাকে মারপিট করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহের এডিসি হিসেবে কর্মরত আসাদুজ্জামান, তার স্ত্রী ও দুই ভাই এর বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে ওই এডিসি, তার স্ত্রী শিল্পী, দুই ভাই সাইফুল ইসলাম হেনা ও নুরুজ্জামান রোজির বিরুদ্ধে  শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কুরসিয়া বেগমের মেয়ে তাসলিমা সুরাইয়া।

    তাসলিমা অভিযোগ করেন- তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আমির হামজা ৩ বার স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী। তাকে কোনক্রমেই তেল চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ানো চিকিৎসকদের নিষেধ আছে। পাশাপাশি দুই বাড়িতে তারা বসবাস করেন। তাদের বাবা তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী কুরসিয়া বেগমের সাথে থাকেন। ছোট বৌ এর সংসারেই তার সকল প্রকার দেখাশোনা হয়ে থাকে।  গত শনিবার এডিসি আসাদুজ্জামানের স্ত্রী শিল্পী তার বাবা আমির হামজাকে সকালে খাবার খাওয়ার পর বিরানী খাওয়াতে আসে। এ সময় কুরসিয়া বেগম তার স্বামীর বিরানী জাতীয় খাবার খাওয়ায় ডাক্তারের নিষেধ আছে বলে জানালে শিল্পী বেগম ওই খাবার ছুড়ে ফেলে দিয়ে চিৎকার করতে করতে বেরিয়ে যান।  পরে রবিবার সকালে শিল্পী বেগম, তার স্বামী এডিসি আসাদুজ্জামান ও তার অন্য দুভাই এসে কুরসিয়া বেগমকে বেদম মারপিট করে। অসুস্থ্য অবস্থায় তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

   মাগুরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সোফাইয়া সুলতানা কুরসিয়া বেগমের চিকিৎসা দিয়েছে। তিনি বর্তমানে আশংকামুক্ত আছেন বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।

    এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আসাদুজ্জামান জানান-   বিমাতা কুরসিয়া বেগম বাবা মুক্তিযোদ্ধা আমির হামজার সঙ্গে তাদের দেখা করতে দেন না। তাকে ভাল কোন খাবার খেতে দিতে চাইলে মা সে খাবার ফেলে দেন। মাকে মারপিটের ঘটনা সম্পূর্ণ সাজানো মিথ্যা।  রোববার বাবার সাথে দেখা করতে চাইলে বিমাতা উত্তেজিত হয়ে পড়লে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। ছোটভাই নুরুজ্জামান রোজির সামান্য ধাক্কায় তিনি পড়ে গিয়ে সামান্য আহত হন। Magura 2 (2)

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবর রহমান জানান- ঘটনা জানার পরপর ওই বাড়িতে পুলিশের দুজন এস আই গিয়ে খোঁজ খবর নেন। বিষয়টি একান্তই পারিবারিক । উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেই ভবিষ্যত করনীয় নির্ধারণ করা হবে।

মাগুরা /১১ জুন ১৮

 

6'x3' PVC 1 copy