মো. আনোয়ার হোসেন শাহীন, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
গেস্টরুম বা ড্রয়িং রুমের আদী ভার্সন কাচারি ঘর এখন আর দেখা যায় না। মূলবাড়ি থেকে একটু বাইরে আলাদা খোলামেলা ঘর। অতিথি, পথচারি কিংবা সাক্ষাৎপ্রার্থী এই ঘরে এসে বসেন। প্রয়োজনে এক-দুই রাত যাপনেরও ব্যবস্থা আছে এখানে।

কাচারিঘর ছিল অবস্থাসম্পন্ন গৃহস্তের আভিজাত্যের প্রতিক। কাঠের করুকাজ করা টিন অথবা শনের ছাউনি থাকত কাচারি ঘর। আলোচনা শালিস বৈঠক গল্প আড্ডার আসর বসত কাচারিঘর ঘিরে। বর্ষাকালে কাচারি ঘরে বসে পুঁথিপাঠ, শায়ের শুনে মুগ্ধ হতেন শ্রোতা।

পথচারি একটু জিড়িয়ে নিতেন। বিপদে পড়লে রাতযাপনের ব্যবস্থা থাকত এখানে। বাড়ির ভিতর থেকে খাবার পাঠানো হতো কাচারি ঘরের অতিথির জন্য। আবাসিক গৃহশিক্ষকের (লজিং মাস্টার)কাচারি ঘরেই থাকতেন।সকাল বেলা মক্তব হিসেবে ব্যবহৃত হতো কাচারি ঘর।

এথন আর কাচারি ঘর তেমন চোখে পড়ে না। তবু গ্রামে এখনো দেখা যায় কাচারি ঘর। অনেকেই বাপদাদার ঐতিহ্য হিসেবে ধরে রেখেছেন কাচারি ঘর।

এরকম একটি কাচারিঘর পাওয়া গেল মাগুরা সদর উপজেলার আলোকদিয়ার পুখরিয়া গ্রামে। ঐতিহ্যবাহী মীর বাড়িতে এখনো একটি কাচারি ঘর আছে। ঘরটি আগে সনের ছাউনি ছিল। ছিল কাঠের দৃষ্টিনন্দন কারু কাজ। সন এখন পাওয়া যায় না। তাই টিন আর ইটের দেয়াল দিয়ে কাচারিঘরটির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা হয়েছে।

আলোকদিয়ার বাসিন্দা বগিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর রনক হোসেন জানান,‌ বাড়ির পুরনো ঐতিহ্য হিসেবে কাচারিঘর সংরক্ষণ করা হচ্ছে। পূর্ব পুরুষের নানা স্মৃতি বিজড়িত এই কাচারিঘর।

 

রূপক/শাহীন/০৮ডিসেম্বর ১৬