স্পোর্টস ডেস্ক, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
বরিশাল বুলসকে হারিয়ে বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে খুলনা টাইটান্স। এদিন বরিশালের দেওয়া ১২০ রানের টার্গেট খেলতে নেমে ৮ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। এ জয়ে ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে খুলনা।

এদিন মিরপুরে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশালের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। ওপেনিংয়ে নামেন জীভান মেন্ডিস এবং ডেভিড মালান। দলীয় ১৮ রানের মাথায় মালানের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে পাকিস্তান পেসার জুনায়েদ খানের বলে নিকোলাস পুরানের তালুবন্দি হন ১০ বলে ৭ রান করা মালান। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বিদায় নেন আরেক ওপেনার মেন্ডিস। শফিউলের বলে জুনায়েদের তালুবন্দি হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। দলীয় ২৪ রানের মাথায় দুই উইকেট হারায় বরিশাল।

এরপর জুটি গড়েন শাহরিয়ার নাফিস এবং মুশফিক। এই জুটি থেকে আসে ৪২ রান। ইনিংসের ১১তম ওভারের শেষ বলে মোশাররফ রুবেল ফিরিয়ে দেন নাফিসকে। এলবির ফাঁদে পড়ে বিদায়ের আগে ২৭ বলে তিন বাউন্ডারিতে ২৩ রান করেন নাফিস। দলীয় ৬৬ রানের মাথায় বরিশালের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে। দ্রুত বিদায় নেন নাদিফ চৌধুরি। রান আউট হয়ে ফেরেন ১ রান করা নাদিফ। তার বিদায়ে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে বরিশালের।

ইনিংসের ১৫তম ওভারে থিসারা পেরেরা আর মুশফিকের মাঝে ভুল বুঝাবুঝিতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হন বরিশালের দলপতি। মুশফিক বিদায় নেওয়ার আগে করেন ৩১ রান। তার ২৬ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি বাউন্ডারির মার।

থিসারা পেরেরা ১৯ বলে অপরাজিত ১৭ রান করেন। এনামুল হক ২০ বলে একটি চার আর একটি ছক্কায় করেন অপরাজিত ২০ রান। শেষ পর্যন্ত  ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান করে বরিশাল।

জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় খুলনা। দলের হয়ে ব্যাটিং শুরু করেন তাইবুর রহমান ও হাসানুজ্জামান। ওপেনার হাসানুজ্জামানকে ফিরিয়ে উইকেটের খাতা খোলেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের প্রথম ওভারে বোল্ড হওয়ার আগে খুলনার এই ওপেনার করেন ৪ রান। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বিদায় নেন রিকি ওয়েসেলস। রুম্মন রইসের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫ রান। দলীয় ১৬ রানের মাথায় দুই উইকেট হারায় খুলনা।

ইনিংসের নবম ওভারে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তাইবুর রহমান।  ২৫ বলে দুই বাউন্ডারিতে ২১ রান করেন তিনি। দলীয় ৪৯ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে।

এরপর ৫৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শুভগত হোম। ৪০ রানে আউট হন শুভাগত। বাকি পথটুকু পডাড়ি দেন রিয়াদ ও নিকোলাস পরান। ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ।

মাগুরা/ ২৫ নভেম্বর ১৬