স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরাবার্তা
মাগুরা সদরের বড়শলই পঞ্চপল্লি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে মামলাধীন জায়গার গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্কুলের জমিদানকারীদের সাথে নিজের জমির ভাগাভাগি নিয়ে মামলা চলার পরও সেখানে বেশকিছূ ফলজ ও বনজ গাছ কেটে নিয়েছ স্কুলের সভাপতি  মর্মে মাগুরা সদর থানায় রবিবার সকালে লিখিত অভিযোগ করেছেন জমিদানকারীদের একজন ।
মাগুরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, মাগুরা সদর উপজেলার বড়শলই পঞ্চপল্লী স্কুলের পূর্ব পাশের দুই শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল স্কুলের জমিদানকারীদের এক শরীক বি এম আমিরুল ইসলামের সাথে স্কুল কর্তৃপক্ষের। এ নিয়ে বর্তমান স্কুল সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান উক্ত জমিটি ভোগ দখল করে নিবে বলে এলাকায় প্রচার করেন । অভিযোগকারী আমিরুল দাবী করছেন উক্ত ২ শতক জমি তার এবং উক্ত জমিতে রোপনকৃত বিভিন্ন জাতের বনজ গাছগুলোও তাদের পরিবারের। এই মর্মে মাগুরা বিজ্ঞ আদালতে এলএসটি মামলা হয়,মামলা নং ৩৯৪/১৭।
মামলার কারনে আদালত অভিযোগকারী আমিরুলের পিতার অনুকূলে ডিক্রি প্রদান করেন। অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়  স্কুলের সভাপতি  আদালতের ডিক্রি অমাণ্য করে তার কিছু  সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে প্রায় ৭০ হাজার টাকার মূল্যের গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। যা আদালত অবমাননার বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে উক্ত স্কুলের সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামানের সাথে মুঠফোনে কথা বলে জানা যায়, স্কুলে মাত্র দুটি টয়লেট। এখন স্কুলে শিক্ষার্থী প্রায় আড়াইশত বেশি যার মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেড়শত উপরে। তাই  পূর্ব পাশে একটি টয়লেট ও কমন রুমের প্রয়োজনে গাছগুলো কাটা হয়েছে স্কুলের স্বার্থে। আর জমিটি স্কুলের সীমনার মধ্যেই আছে। আমি নিজের জন্য কিছূ করিনি। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
এ বিষয়ে মাগুরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা  রনজিৎ কুমার সাহা  জানান,  বিষয়টা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পার্শ্ববর্তী জমিদানকারীদের মধ্যে মামলা চলছিল জানতাম। যেহেতু মামলা চলমান,তাই গাছ কাটার প্রশ্নই আসে না। সভাপতি যদি এটি করে থাকেন  তা নিয়মবর্হিভূত হবে। স্কুলের সীমানায় গাছ হলেও সভাপতি কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে  গাছ কাটতে পারেন না। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

শ্রাবণ/মাগুরা/২৬ এপ্রিল ২০২০