বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তা
মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকায় আজ সোমবার সকালে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে গলাকেটে হত্যা করার পর নিজ গলায় ধারালো বটি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বিটু মজুমদার (৩০) নামে এক যুবক।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান-  স্ত্রী ও ১০ মাস বয়সি শিশু সন্তান নিয়ে পারনান্দুয়ালী মিস্ত্রীপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন বিটু মজুমদার। সকাল ১১টা পর্যন্ত ঘরের দরজা না খোলায় এলাকাবাসি পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে এলাকাবাসির সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে।  সেখানে বিছানার উপর বিটুর স্ত্রী পূর্ণ মজুমদার (২৪) ও ১০ মাস বয়সী ছেলে মানব মজুমদারের দেহ থেকে গলা বিচ্ছিন্ন করা মৃতদেহ ও বিটুর নিজের গলাকাটা আহত শরীর দেখতে পায় পুলিশ। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্ত্রী ও শিশু সন্তানের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মাগুরা মর্গে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে ধারালো বটি দিয়ে হত্যা করে বিটু নিজে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল বলে  প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
মাগুরা পৌরসভার নারী কাউন্সিলর হাওয়া বেগম জানান- ঘরের মধ্যে গলাকাটা অবস্থায় ৩জন পড়ে আছে জানতে পেরে আমরা ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করি। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে শিশু মানব ও তার মা কে মৃত ও তাদের বাবা বিটু মজুমদার গুরুতর আহত অবস্থায় আছে।
এলাকাবাসি ও পরিবার সূত্র জানায়- বিটু পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী। সে পারনান্দুয়ালী মিস্ত্রী পাড়ার নির্মল মজুমদারের ছোট ছেলে।  মাদক গ্রহণের ফলে সে কিছুটা মানসিক বিকারগ্রস্থ ছিল। ৩ বছর আগে বিটু চুয়াডাঙ্গা থেকে মোছা পূর্ণ বেগম নামে ওই নারীকে বিয়ে করে নিয়ে আসে। কিন্তু পরিবারের অমতে বিয়ে করায় তার পরিবার তাকে মেনে নেয়নি। সে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতো। তাবে তার স্ত্রীর সাথে তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। ঝগড়া চরম পর্যায়ে গেলে তাদের মধ্যে হাতাহাতিও হতো। এরই জের ধরে গতরাতে কোন এক সময় বিটু তার স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করে নিজে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করতে পারে।

রূপক/মাগুরা/২২ জুলাই ১৯