স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীকে প্রকাশ্যে মারপিট এর ঘটনা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ করায় এবার ফেসবুকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নানা রকম কুৎসা, কুরুচি ও হুমকিপূর্ণ বক্তব্য প্রকাশ করছে অভিযুক্ত যুবকের বন্ধু নাজমুল হোসেনসহ কয়েকজন। প্রকাশ্যে ছাত্রী লাঞ্ছনার মত গুরুতর অপরাধ করার পরও অনেকটা পরিকল্পিতভাবেই প্রান্ত নামের ওই যুবকের পক্ষে সাফই গেয়ে বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করছে ফেসবুকে সক্রিয় গ্রুপটি।
মাগুরা সদর থানায় মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আসামী প্রান্ত গ্রেফতার হয়। যা নিয়ে প্রথম আলো, যুগান্তর, সমকাল, আমাদের সময়, বিডিনিউজ, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হয়।
এদিকে অভিযুক্ত প্রান্তর পক্ষে পারনান্দুয়ালী গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ এর ছেলে  নাজমুল হোসেন বিভিন্ন ফেসবুক ওয়ালে আপত্তিকর ও উস্কানিমূলক মন্তব্য করছে। ইনিয়ে বিনিয়ে সে প্রান্তর অপরাধকে ছোট করে ওই কলেজ ছাত্রীকেই দায়ী করে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছে । এমনকি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে অত্যন্ত নিম্নরুচির অকথ্য ভাষায় নানা মন্তব্য করছে (স্ক্রীন শট আছে, প্রচার অনুপযোগি)।
মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শামিম খান জানান- কুরুচিপূর্ণ এমন মন্তব্য  সাংবাদিকতার মত একটি মহৎ ও মানবিক পেশার সাথে সম্পৃক্তদের জন্য শুধু অসম্মানজনকই নয় পেশাগতদায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে হুমকি স্বরূপ। ইতিমধ্যে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে তিনিসহ সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামকে বিষয়টি অবগত করেছেন।
সাংবাদিকবৃন্দ জানান- যে কোন ঘটনার তাৎক্ষনিক সংবাদে ওই ঘটনার পেছনের কারণ তুলে আনা সম্ভব নয়। প্রান্ত নামের ওই যুবক যেভাবে প্রকাশ্যে একটি মেয়েকে মারপিট ও শ্লীলতাহানি করছে তা যে কোন বিবেকবার মানুষকেই বিক্ষুব্ধ করে। এক্ষেত্রে প্রকাশ্যে এ ধরনের অন্যায় আচরণের পেছনের যে কোন কারণেকেই সমর্থন করা যায় না। প্রান্ত কি কারণে ওই মেয়েটিকে লাঞ্ছিত করেছে তা তুলে আনার চেয়ে এ ধারনের গর্হিত অপরাধকে প্রকাশ করাই প্রধান কর্তব্য হয়ে উঠে। আর ফেসবুক ওয়ালে সাংবাদিক সমাজের বিরুদ্ধে যে কুরুচিপূর্ণ ভাষা প্রকাশ করা হয়েছে তার শাস্তি দাবী রাখে। ভিকটিম মেয়েটিকে নিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশালিন বক্তব্য দিতে ছাড়ছে না বখাটে প্রান্তর স্বজনরা। যা আইনের আওতায় আসা উচিত।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান- সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধা বা কোন ধরনে হুমকি বরদাস্ত করা হবে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য- গত ২ জুলাই সোমবার মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজের প্রথম দিনেই মো: প্রান্ত বিশ্বাস নামে ওই যুবকের হামলা ও মারপিটের শিকার হন প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। যে ঘটনায় মামলার প্রেক্ষিতে প্রান্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মাগুরা /৫ জুলাই ১৮