বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার তল্লাবাড়িয়া গ্রামের জালাল (৩৫) ও বক্কার (৪২) নামে ২ ব্যক্তি সৌদি আরবের রিয়াদে মানব পাচারকারিদের দ্বারা পাচার হয়ে সেখানকার একটি বাড়িতে বন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা বুধবার সংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
পাচারের শিকার জালাল মোল্যার বাবা দুদু মোল্যা অভিযোগ করেন, তল্লাবাড়িয়া গ্রামের মোকসেদ ফকিরের ছেলে দিলু ফকির ৫ মাস আগে ৫ লাখ টাকার চুক্তিতে তার ছেলে জালালকে রিয়াদে নিয়ে যায়। একই সময়ে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে রিয়াদে নেয় তল্লাবাড়িয়ার বক্কারকে। কিন্তু দিলু ফকির তাদের সৌদিতে নিয়ে কাজ না দিয়ে সেখানকার একটি ঘরে বন্দী করে রেখেছে। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের কাছে আকামার জন্য আরো টাকা দাবি করছে।
পাচারের শিকার বক্কার শেখের মেয়ে তন্নী বেগম কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ করেন, তার বাবার সাথে মাঝে মাঝে ফোনে কথা হচ্ছে। সেখানে তার বাবা খুবই কষ্টের মধ্যে আছেন বলে জানিয়েছেন। প্রায়ই তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে যেতে বলা হচ্ছে। অথচ ভাল কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে দিলু  বাংলাদেশি ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে রিয়াদে নিয়ে গেছে। এখন আকামার জন্যে অতিরিক্ত দেড় লাখ টাকার পাশাপাশি আরো টাকা দাবী করছে।
মোবাইল ফোনে রেকর্ডকরা জালালের বক্তব্যে জানা যায়, রিয়াদ শহরের সমুতি হাসপাতালের নিকটবর্তী একটি বাড়িতে জালাল ও বক্কারকে আটকে রেখেছে দিলু ফকির ও তার লোকজন। মাঝে মধ্যে তাদের মারধর পর্যন্ত করা হচ্ছে। এছাড়া মোবাইলে পরিবারের সদস্যদের কাছে অতিরিক্ত টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে তারা। পাশাপাশি তাদের পাসপোর্ট ও অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে গেছে মানব পাচপাচারকারীরা।
পাচারের শিকার হওয়া জালাল মোল্যা আরো বলেন, এ বিষয়ে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করতে গেলেই তাদেরকে মারধর করছে দিলু ফকির ও তার সঙ্গীরা। এমনকি ঘরের মধ্যে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরে অগ্নিকান্ড বলে চালিয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দিচ্ছে তারা।
এদিকে অভিযুক্ত দিলু ফকিরের বাবা মোকছেদ ফকির এ বিষয়ে বলেন, ‘জালাল ও বক্কারের পরিবারের সদস্যদের আগ্রহেই বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসার মধ্যমে রিয়াদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন কাজ পেতে একটু বিলম্ব হওয়ায় তাদের পরিবার এসব অভিযোগ তুলছে’।3 3'x2' PVC 1 copy.tifdgdfh

রূপক /মাগুরা /২০ জুন ১৮

6'x3' PVC 1 copy