মীর মেহেদী হাসান রুবেল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সৃষ্ট ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অন্যতম ইউনিট মাগুরা জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি । ছোটবেলা থেকে লালন করেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। সে আদর্শের কারণে যুক্ত হন সক্রিয় রাজনীতিতে।

 মাগুরা হোঃশঃসোঃ কলেজে ভর্তির পর রাজনীতিতে সক্রিয়তার কারণে ছাত্রলীগের সদস্য হয়ে পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রুবেল তার পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি, সংযত আচরণ, স্লোগান-বক্তৃতায় পারদর্শী ও কর্মীবান্ধব নেতৃত্বের কারণে জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালনের পর সভাপতি হয়ে আলোচিত হয়েছেন।

মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগ। শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের রাজনীতি আরও সক্রিয় ও বেগবান করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন। উপজেলা ছাত্রলীগ এর রাজনীতির অবস্থা, চ্যালেঞ্জ ও নানান বিষয় নিয়ে সম্প্রতি মাগুরাবার্তার প্রতিবেদকের সাথে আলাপ করেন মীর মেহেদী হাসান রুবেল। তার সাথে দীর্ঘ আলাপের  গুরুত্বপূর্ণ অংশ মাগুরাবার্তার পাঠকদের জন্য তুলে ধরেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক তাছিন জামান।

মাগুরাবার্তা : দীর্ঘ ৭ বছর পরে হতে যাচ্ছে শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন। উপজেলা শাখার কমিটিতে কেমন ধরনের নেতৃত্ব আসছে বলে আপনি মনে করেন?

মীর রুবেল : আশা করি, এ সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা শাখার রাজনীতি এক নতুন উদ্যমে পরিচালিত হবে। বিএনপি জামাতের আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন, যাদের স্লোগানে মুখরিত হয়েছে রাজপথ, দলীয় নীতি-আদর্শের প্রশ্নে যারা অবিচল, জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবে রূপদানের জন্য দিনরাত যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তারাই নেতৃত্বে আসবে।

মাগুরাবার্তা : নতুন নেতৃত্ব কেমন কাজ করবে বলে আপনি মনে করেন?

মীর রুবেল : মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের অন্যতম একটি ইউনিট শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগ।আর এই সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলায় ছাত্রলীগে একঝাঁক তরুণ ও মেধাবী নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে। তারা নতুন উৎসাহ ও প্রেরণা নিয়ে শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়ন ও জাতির কল্যাণে কাজ করার গর্বিত অংশীদার হবে ।

মাগুরাবার্তা : ছাত্রলীগ বিভিন্ন সময়ে কর্মী বা অনুপ্রবেশকারীদের অপকর্মের জন্য সমালোচিত হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কি?

মীর রুবেল : কারো ব্যক্তিগত অপকর্মের দায়ভার সংগঠন নেবে না। আর শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের বিষয়ে আমাদের অবস্থান সবসময় স্পষ্ট। আমদের কোনো কর্মী যদি অপরাধে অভিযুক্ত হয়, তবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি,পূর্ব যেমনটা নিয়েছিলাম। প্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের হাতে কলম তুলে দিয়েছেন পড়াশুনা করার জন্য, অপরাধ করার জন্য নয়।

মাগুরাবার্তা : বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতি নিয়ে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। তাদের উদ্দেশ্যে কি বলবেন?

মীর রুবেল : এই প্রজন্মের অনেকে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে থাকে, সেটা সত্যি। তবে ছাত্ররাজনীতি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণাটি ঠিক নয়। আমি মনে করি, এই দেশ সকলের। দেশের কল্যাণের জন্যই শিক্ষার্থীদের দেশ, ইতিহাস, ভাষা আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের সবার আগে সচেতন হতে হবে। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নিয়মিত শিক্ষার্থীরাই অংশগ্রহণ করে থাকে, এখানে মেধার মূল্যায়ন হয়। তাই রাজনীতিতে মেধাবীরা আসলে দেশ এগিয়ে যাবে, সমৃদ্ধ হবে।