বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
এক আমেই ৫ কেজি ! প্রথমে শুনলে অনেকেই অবাক হন। তবে মাগুরার হর্টিকালচার সেন্টারে “ব্রুনাইকিং” নামের বিদেশি জাতের বিশাল আকৃতির আম উৎপাদন ক্ষমতার গাছের উৎপাদন শুরু হয়েছে। রোপনের মাত্র দুবছরের মাথায় দুটি গাছে এবার পাঁচটি আম হয়েছে। ইতিমধ্যে এই আম ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারে গিয়ে দেখা গেছে বিশাল আকৃতির আকর্ষণীয় এ আম দেখতে ও চারা সংগ্রহ করতে প্রতিদিন লোকজন ভিড় জামাচ্ছেন।
মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যান তত্ত্ববিদ মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ব্রুনাইকিং জাতের আম চাষীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। দুবছর আগে লাগানো গাছে গতবার থেকেই আম এসেছে। অনেক আম আসলেও ওজনের কারণে দুটি গাছে পাঁচটি আম রাখা হয়েছে। আমের আঁটি পরিপক্ক হওয়ার আগেই একেকটি আমের ওজন প্রায় ২ কেজি । পরিপক্ক হলে ওজন পাঁচ কেজি পর্যন্ত হবে বলে তিনি জানান। তিনি জানান- গত বছর এ গাছে একটি আম ৪কেজি ২শ গ্রাম পর্যন্ত হয়েছিল। এবার গাছ বড় হওয়ায় আকৃতি আরো বড় হয়ে ৫ কেজি পর্যন্ত হবে বলে তিনি আশা প্রাকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, রোপণের এক বছর পরই এ গাছে ফল আসে। নাবি জাতের এই আম শ্রাবণ মাসে পাকে। ওই সময় অন্য বর্তমান জাতের আম কম থানায় তা বাজারে ভাল দামও পাবে। এ আম বাড়ির ছাদে সহজেই আবাদ করা যায় । এ আমের স্বাদ, গন্ধ এবং রঙ সুন্দর। গত মৌসুমে প্রায় ৫০ জন কৃষকের মধ্যে এই আমের চারা বিতরণ করা হয়েছে। বেশিরভাগ গাছেই আম এসেছে।
বৈজ্ঞানিক নাম Mangifera indiea. কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ব্রুনাই থেকে আনা এই জাতের আম ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারে আবাদ শুরু হয়েছে। সামনের মৌসুমে আগ্রহী কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক হারে চারা বিতরণ শুরু হবে।
শাহীন/রূপক/২৩ মে ১৭