বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মসুর ডালের ঘাটতি ও পুষ্টি চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল বিনা মসুর-৮ জাতের ডাল। উচ্চফলনশীল এই জাতটির উদ্ভাবক বিনার গবেষক স্নিগ্ধা রায় মঙ্গলবার বিকেলে মাগুরা সদর উপজেলার বাটিকাডাঙ্গ এলাকায় মাঠ দিবসে এ তথ্য জানান।

স্নিগ্ধা রায় আরো জানান, স্থানীয় মসুর জাতে যেখানে ফলন হয় বিঘা প্রতি  ফলন হয় যেখানে ২ থেকে ৩ মন। সেখানে বিনা বিনা মসুর-৮ জাতের মসুরে ফলন হয় প্রায় ৮ মন। যা স্থানীয়  জাতের তুলনায় প্রায় তিনগুন বেশি। এ ছাড়া সাধারণ জাতের তুলনায় এটি কম সময়ে মাঠ থেকে কৃষক ঘরে উঠাতে পারে। সাধারণ জাতের মসুর ডাল চাষে সময় লাগে ১১০ থেকে ১১৫ দিন। অপর দিকে বিনা মসুর-৮ জাতে চাষে সময় লাগে ৯০ থেকে ১০০ দিন। এ ছাড়া এটির রোগ বালাই প্রতিরোধ ক্ষমতাও সাধারণ জাতের তুলনায় বেশি। এসব কারনে এটি চাষ করে কৃষকরা অনেক বেশি লাভবান হতে পারবে। দেশে বর্তমানে শুধুমাত্র মসুর ডালের চাহিদা রয়েছে ৬ লাখ ৪২ হাজার মেট্রিক টন। উৎপাদন হয় ১ লাখ ৬৭ হাজার ২৬১ মেট্রিক টন।  উচ্চফলনশীল বিনা মসুর-৮ জাতটি দেশে মুসর ডালের ঘটতি মোকাবেলায় ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া পুষ্টির চাহিদা মেটাতেও অবদান রাখবে বলে জানান তিনি।

স্নিগ্ধা রায় জানান, ২০১৩ সালে এ জাতটি উদ্ভাবনের পর বিভিন্ন সময় দেশের বিভন্ন স্থানে এটির পরীক্ষামুলক চাষ ও বীজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মাগুরাতে ও  এটি মাঠ পর্যায়ে এ বছর প্রদর্শনী ক্ষেত ও বীজ সংগ্রহের জন্য চাষ করা হয়েছে। আগামীতে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপকভাবে চাষ হবে বলে আশা করেন তিনি।

মাগুরা সদর উপজেলার বাটিকাডাঙ্গ এলাকায় কৃষক গোলাম সরোয়ার জানান, বিনার সহযোগিতায় তিনি ২ একর জমীতে উচ্চফলনশীল বিনা মসুর-৮ চাষ করেছেন। ফলন খুব ভালো হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৪৮ মন মসুরি পাবেন। বলে আশা করছেন।

মাঠ দিবসে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পার্থ প্রতিম বিশ্বাস জানান, বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে বিনা মসুর-৮সহ বিভিন্ন উচ্চফনশীল জাত বের হয়েছে। যা আগামী দিনে মসুর ডালের ঘাটিতি ও পুষ্টি চাহিদা পূরনে সহায়ক হবে বলে জানান তিনি।

মাঠ দিবসে মাগুরা বিনা উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৈকত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মো. আবুল কাশেম। বক্তব্য রাখেন, জেলা বীজ প্রত্যায়ন অফিসার শ্যমল কুমার বিশ্বাস, কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুহল আমীন প্রমুখ।

রূপক/ মাগুরা -৭মার্চ