শালিখা প্রতিনিধি
মাগুরার শালিখা উপজেলার সাবরেজিষ্ট্রি অফিসার মোঃ ইকবাল হুসাইনের অনিয়ম, দূর্ণীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে দলিল লেখকরা অনির্দ্দিষ্ট কালের জন্য কলম বিরতি শুরু করেছে। সাব রেজিস্ট্রারের বদলী ও শাস্তির দাবীতে মঙ্গলবার সকাল থেকে এই কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।
উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিয়ার বিশ্বাস জানান, সাবরেজিষ্ট্রি অফিসার গত ২৪ অক্টোবর এ উপজেলায় যোগদান করার পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি, অনিয়ম ও দলিল লেখকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচারণ করে চলেছেন। তিনি আরো বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সিনিয়র দলিল লেখক মোঃ ইমান আলী মোল্যা তাঁর লিখিত দলিল সাবরেজিষ্ট্রারের কক্ষে গিয়ে দাখিল করেন। সাবরেজিষ্টার দলিলটি দেখার এক পর্যায়ে তাঁর কাছে অর্থ দাবি করেন। তিনি অর্থ না দিতে চাইলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে কক্ষ থেকে বের করে দেন। এছাড়াও তিনি গত কয়েক দিন আগে উপজেলার গোপালগ্রামের আব্দুল হামিদ বিশ্বাস,ফরিদ বিশ্বাস, লিটন বিশ্বাস নামের জমি বিক্রেতার সম্পাদনকৃত দলিল লেখায় সামান্য ভূল হওয়ায় মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি লিখিত ষ্টাম দম্ভের সাথে টেনে ছিড়ে ফেলেন। এব্যাপারে সিনিয়র দলিল লেখক মোঃ ইমান আলী মোল্যা জানান, আমি ৩৮ বছর এই এই পেশায় কর্মরত আছি। কিন্তু এমন অপমানিত কখনও হইনি। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে আরো বলেন,আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই। এব্যাপারে তালখড়ি ইউনিয়ন নিবাসী আরো এক ভূক্তভুগি মোঃ সবুর মুসল্লী জানান, তিনি অযথা মানুষকে হয়রানি করছেন। আমিও এই হয়রানির স্বীকার।
তবে এব্যাপারে সাবরেজিষ্ট্রি অফিসার মোঃ ইকবাল হুসাইনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আনিত অভিযোগ গুলো সত্য নয়। কিন্তু সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এক পর্যায়ে তিনি দলিল ছেঁড়ার কথা স্বীকার করেন। দলিল কেন ছিঁড়লেন প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এব্যাপারে উপজেলার সকল দলিল লেখক যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সাবরেজিষ্ট্রারের বদলী ও বিচারের দাবি জানান। তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কর্ম বিরতি অব্যহত থাকবে।
মাগুরা/ ১২ ডিসেম্বর ১৭