বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
২৫ ডিসেম্বর। মাগুরা থেকে ৪ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সংসদের বিরোধী দলীয় পার্লামেন্টারী বোর্ডের সাবেক সচিব, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এ্যাডভোকেট আছাদুজ্জামানের ২৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী । এ উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগসহ সকালে আছাদুজ্জামানের বাসভবনে দোয়া মাহফিল ও আলোচনাসভার আয়োজন করেছে।

মরহুম আছাদুজ্জামান ১৯৩৫সালের ১১ই নভেম্বর মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মৌলভী জোকা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র অবস্থায় ৫২ ভাষা আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫৪ সালে ছাত্রজীবনে তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬১ সালে তিনি মাগুরা বারে আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬২’র ছাত্র আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সংস্পর্শে আসেন। ১৯৬৫ সালে তিনি মাগুরা মহাকুমা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৬ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি পুর্ব পাকিস্তান প্রদেশিক পরিষদের এম.পিএ নির্বাচিত হন। ১৯৭২এ তিনি গণ পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন।এ সময় তিনি শ্রেষ্ঠ তরুন পার্লামেন্টিয়ান হিসেবে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৯,১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যু হয়।

আছাদুজ্জামানের মেয়ে কামরুল লায়লা জলি বর্তমান মাগুরা-যশোর সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ও তৃতীয় পুত্র এড. সাইফুজ্জামান শিখর বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারি একান্ত সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন।

উল্লেখ্য, সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় আছাদুজ্জামান সাহেবের মৃত্যু হয়। পরে উপ-নির্বাচন হলে ব্যাপক ভোট ডাকাতির মাধ্যমে মরহুমের বড় ছেলে এড. শফিকুজ্জামান বাচ্চুকে পরাজিত করে বিএনপি’র প্রার্থী জিকিউ গ্রুপের কর্ণধর কাজী সালিমুল হক কামাল এমপি নির্বাচিত হয়।

রূপক/২৪ডিসেম্বর১৬