বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মাগুরায় প্রথমবারের মত শুরু হয়েছে ভাসমান খাঁচা পদ্ধতিতে মাছ চাষ । সোমবার বিকেলে জেলার মহম্মদপুর উপজেলার মধুমতি নদীতে স্থাপিত ৩০টি খাঁচায় মাছের পোনা অবমুক্ত করার মাধ্যমে এ কর্মসূচী উদ্বোধন করা হয়। মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় উদ্যোক্তাবৃন্দ যৌথভাবে খাঁচা স্থাপন করে উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ চাষ শুরু করেছে।
মাগুরার মহম্মদপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিকুর রহমানের সভাপতিত্বে মাছের পোনা অবমুক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র দাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান স্বপন, মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ খান, মহম্মদপুরের ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মীর লিয়াকত আলী, মহম্মদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুল হাসানসহ অন্যরা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়- প্রতি ১০টি খাচার জন্য সরকার ২ লাখ টাকা সহায়তা দিচ্ছেন। সেইসঙ্গে খাবার ও অন্যান্য বাবদ আরও ২ লাখ টাকা খরচ করতে হচ্ছে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের। এ পদ্ধতি সফল হলে এ এলাকায় আরও অনেকে খাঁচায় করে মাছ চাষে আগ্রহী হবে।
আয়োজকরা জানান- মাগুরা জেলায় প্রতি বছর মাছের চাহিদা ১৭ হাজার মেট্রিকটন। এই মাছের চাহিদা পূরণে বিভিন্নমুখি কর্মসূচী নিচ্ছে জেলা মৎস্য বিভাগ। খাচায় মাছ চাষ এর মধ্যে একটি। জেলায় মোট ৭০টি খাচা স্থাপনের মাধ্যমে বছরে অন্তত ১৪০ মেট্রিকটন মাছ উৎপাদন করার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেহেতু নদীর পানিতে প্রচুর প্রাকৃতিক খাবার থাকে সে কারণে মাছের জন্য কম খাবারে দ্রুত মাছের বৃদ্ধি হবে। এ পদ্ধতিতে নদীতে প্রাকৃতিক পরিবেশে অধিক ঘনত্বে দ্রুত মাছের উৎপাদন সম্ভব। এরফলে অল্প সময়ে অধিক মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে মাছের ঘাটতি মোকাবেলা করা সম্ভব। অন্যদিকে এর মাধ্যমে এলাকায় বেকারত্ব কমিয়ে আনা যাবে বলে আশা করেন তিনি।