বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় দুদল গ্রামবাসির সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন  আহত হয়েছেন। এসময় কমপক্ষে ১০টি ঘরবাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন।  মঙ্গলবার দুপুরে পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের পলাশবাড়িয়া গ্রামের পূর্ব ও দক্ষিণ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের দুই সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আকরাম হোসেন ও বকুল মোল্যার মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায়  দুপুরে আকরামের সমর্থক মাফুজার মোল্যা ও বকুলের সমর্থক সবুর মোল্যার বিরোধপূর্ণ জমির সীমানা পিলার উঠানো নিয়ে কথাকাটাটি ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জেরে উভয় পক্ষ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে কমপক্ষে ২০জন আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। আহতদের মধ্যে মিলন (৩০), সাখাওয়াত (৪০) কাইয়ুম (২৮), পলাশ (৩০) আবুল বশার (৫০), নিজাম মোল্যা (৪০)  কে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সংঘর্ষ চলাকালে তবিবর. আনিছুর, পাখি. সাহেব, আলীম, লিটন ও বাকার বাড়ি ঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে ক্ষতিসাধন করা হয়। এরমেধ্য অন্তত চারটি ঘরের মালপত্র লুট করে নিয়ে যায় বলে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেন।

পলাশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আলাউদ্দিন মোল্যা ওরফে পাখি মাস্টারের একটি বসতঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়। এতে ঘর  ও ঘরের মধ্যে থাকা মূল্যবান গৃহস্থালী সমাগ্রী ক্ষতিগ্রস্ত ও লুট করা হয় বলে ওই বাড়ির লোকজন জানান।

মহম্মদপুর থানার (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, বিরোধপূর্ণ জমির মালিকানা দাবি নিয়ে  কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। অতিরিক্ত পুলিশমোতায়েন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

মাগুরা ,৬ জুন ১৭