বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
সুদৃশ্য প্যাকেট, লোভনিয় রং বেরং, নানা ধরণের প্যাকেটে হরেক রকমের বিস্কুট। উপরে নামি কোম্পানির স্টীকারে উৎপাদন তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ, ওজন, খুচরা মূল্য, ব্যাচ নং সবই ঠিক আছে।তাহলে সমস্যা কি? কেন ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, সাংবাদিক?
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় থলের বিড়াল বেরিয়ে গেল হঠাৎ অভিযানে। হায় হায়! আমরা কি খাচ্ছি? শহরের নতুন বাজার সাহা পাড়ায় বিস্কুটের পাইকারি ডিলার সুবল সাহার গুদামে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। সেখানে দেখা গেল, কোম্পানি থেকে বিস্কুট দেয়া হয় সুদৃশ্য সাদা প্লাস্টিকের প্যাকেটে। সেই সাথে দেয়া হয় খালি ঘর সমৃদ্ধ স্টিকার। বিভিন্ন দোকানের অর্ডার কেটে ডেলিভারির দিনে স্টিকার বসিয়ে সেখানে উৎপাদন তারিখ, মেয়াদের সিল মেরে বাজারজাত করে ওই প্রতিষ্ঠানের লোকজন । অর্থাৎ বিস্কুট যেদিনই তৈরী হোক। এ বিস্কুটের মেয়াদ কখনো উত্তীর্ণ হবে না! ভয়ংকর এ তথ্য উদঘাটন করা হয়েছে আজকের এ অভিযানে।
ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মুহ. মাহমদুল্লাহ জানান- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় ওই গোডাউনে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় সেখান থেকে প্রায় ৭০ হাজার টাকা মূল্যের মেয়াদ বিহীন বিস্কুট, কুইন ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরি, ১৪৪২/১এ খিলগাও ঢাকা এর নামে ছাপানো বিপুল পরিমানে ব্লাংক স্টিকার, ২ বস্তা অবৈধ পলিথিন জব্দ করা হয়।
এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক সুবল সাহার কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
পরে জব্দকৃত প্রায় ৭০ হাজার টাকা মূল্যমানের বিস্কুট ও পলিথিন শহরের জেটিসি রোডে নদীর পাড়ে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল্লাহ- মানুষের খাবার নিয়ে এ ধরণের মারাত্মক ব্যবসার হাত থেকে সকলকে সাবধান থাকতে অনুরোধ জানান।