বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তা
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার তারাউজিয়াল গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারের সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম. মনিরুজ্জামান। ১৯৭১ এ থাকতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কোয়ার্টারে। ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে পাকিস্থানি বাহিনীর ঘৃন্য অপারেশন সার্চ লাইট শুরু হলে পাকিস্থানি বাহিনীর নারকিয় হামলায় শহীদ হন তিনি। একই সময় তার ছোট ভাই এ্যাড. নবাব মিয়া, ছেলে আকরামুজ্জামান ও ভাগ্নে মঞ্জুর হোসেনও গণহত্যার শিকার হন। ওই রাতেই তার বাসার নিচতলায় খুন করা হয় অপর প্রথিতযশা শিক্ষক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতাকে। ৫ম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে তাদের নিয়ে সামান্য কিছু কথা লেখা হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও এই শহীদ বুদ্ধিজীবির স্মৃতির উদ্দেশ্যে তার নিজ গ্রামে পৈত্রিক ভিটায় এমনকি নিজ উপজেলায়ও নেই তেমন কোন স্মৃতি চিহ্ন।
এলাকার প্রবীন মানুষদের মনে এখনও জ্বল জ্বল করছেন গ্রামের এ সদালাপী কৃতি সন্তানের কথা।মুক্তিযুদ্ধের এ শহীদকে আজও স্মরণ করেন এলাকার প্রবীণরা। আর নবীন প্রজন্ম চায় এলাকার এ কৃতি মানুষটির নামে নিজ গ্রামে স্মৃতি সংসদ ও ছোট পাঠাগারটি সম্প্রসারিত আকারে বিকশিত হোক।
এ প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অধ্যাপক খান শফিউল্লাহ জানান- দেশের স্বাধীনতার প্রাক্কালে পাকিস্থানি হায়নাদের হাতে প্রাণ বিসর্জনকারী এই শিক্ষাবিদ ও তার পরিবারের সদস্যদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এলাকায় দৃশ্যমান কিছু থাকা উচিত। যার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম অধ্যাপক মোঃ মনিরুজ্জামান এর মত মানুষদের সম্পর্কে জানতে পারবেন।
মাগুরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পংকজ কুন্ডু যদিও শহীদ মনিরুজ্জামানের স্মৃতি সংরক্ষণের আশ্বাস দিয়েছেন। তার নামে প্রতিষ্ঠিত লাইব্রেরীটির উন্নয়ন ও মনিরুজ্জামানের পৈত্রিক ভিটা রক্ষরক্ষণের জন্য তিনি সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।

রূপক/ মাগুরা/ ২৬মার্চ ২২