স্টাফ রিপোর্টার

আপন ফুফার দ্বারা অপহরণের একদিন পর শিশু মিম(৪)কে উদ্ধার করেছে মাগুরার শালিখা থানা পুলিশ।

মোবাইলে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপন চাওয়ার সুত্র ধরে তাকে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বেথুলিয়া গ্রাম থেকে সোমবার রাতে উদ্ধার করা হয়।

শিশু মিম শালিখার চিত্রা ব্রিকস ইট ভাটার শ্রমিক শাহীন সরদারের একমাত্র কন্যা। তাদের মূল বাড়ি সাতক্ষিরায়। অপহরণকারি আলামিন মাগুরা সদর উপজেলার শিয়ালজুড়ি গ্রামের সাইদ মোল্যার পুত্র।

মিমের মা নাসিমা বেগম জানান, অভাবের তাড়নায় আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ শালিখার হরিশপুরের চিত্রা নামক ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজ করি। মিম অসুস্থ হওয়ায় রবিবার বিকালে সীমাখালী বাজারে ডাক্তার দেখাতে আসি। এসময় আমার স্বামীও সঙ্গে ছিলেন। কিছু সময় পর আমাদের আপন ভগ্নিপতি আলামিন মোল্যা ও তার সহযোগী নায়েব আলী এসে আমাদের সাথে কথা বলে মিমকে মিস্টি খাওয়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়। বেশ কিছু সময় ধরে ফিরে না আসায় আমরা খোঁজাখুজি করতে থাকি। পরে রাতে আলামিন মোবাইল ফোনে ২০ হাজার টাকার দাবি করে। মুক্তিপন না দিলে মিমকে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। নিরূপায় হয়ে আমরা থানা পুলিশের স্মরণাপন্ন হই। পুলিশ মোবাইলের সুত্র ধরে আমার মেয়ে মিমকে উদ্ধার করে। আমি ওদের শাস্তি চাই।

শালিখা থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, মিমকে অপহরন করে মহম্মদ পুর উপজেলার বেথুলিয়া গ্রামের নায়েব আলীর বাড়িতে আটকে রেখে মুক্তিপনের জন্য ২০ হাজার টাকাদাবি করে। এ সংবাদ পেয়ে এ এস আই হাফিজ সোমবার বিকেলে ছদ্মবেশে অভিভাবক সেজে মিমকে উদ্ধার করতে গেলে টাকা ছাড়া মিমকে দিতে রাজি না হওয়ায় তাৎক্ষনিক ভাবে ১০ হাজার টাকা দিলে মিমকে ফেরত দেয় নায়েব আলী। এসময় মহম্মদপুর থানার পুলিশের সহযোগীতায় নায়েব আলীকে গ্রেপ্তারসহ ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। পরে নায়েব আলীর স্বীকারোক্তি মোতাবেক আল আমিনকে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ম্যাকচামি গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে শালিখা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।