বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বাতাস বইতে শুরু করেছে মাগুরার শালিখা উপজেলার সর্বত্র। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো দোদুল্যমন আছে। তবে কে পাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক? এ নিয়ে শুরু হয়ে গেছে দলের নেতা কর্মী ও সাধারন মানুষের চুলচেড়া হিসাব নিকাশ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সাম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড় ঝাঁপ। দলীয়নেতা কর্মীদের সমর্থন পাওয়ার আশায় প্রার্থীরা ছুটে বেড়াচ্ছেন উপজেলার এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্তু। শালিখার সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান  বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. শ্যামল কুমার দে অন্যতম।
এ্যাড.শ্যামল কুমার দে ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। তিনি ১৯৭০ সালে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্র সংসদের ছাত্রলীগের পক্ষথেকে প্রমোদ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর পর ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ৮ নং সেক্টরে মহান মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন।  ১৯৮৫সালে শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালের কাউন্সিলে তৃণমূলভোটে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং অদ্যাবধি উক্ত পদে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্তু সকল জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন । তিনি নিজেও ২০০৯ সালে ৩য় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ৪র্থ উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপের নির্বাচনে  তিনি স্বল্প ব্যবধানে  বিজয়ী প্রার্থীর  প্রতিদ্বন্ধী হন।

একজন কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে এ্যাড.শ্যামল কুমার দে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়। এ এলাকার আমজাদ হোসেন, স্মৃতি রানীসহ একাধিক বাসিন্দা বলেন- শ্যামল কুমার একজন সফল সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ।  সাধারন জনগনের সঙ্গে রয়েছে তার খুবই নিবিড় সর্ম্পক। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথেও রয়েছে তার প্রতিদিনের যোগাযোগ। নানা বিভাজন, দ্বিধা দ্বন্দ¦ মধ্যেও সকলশ্রেণীর মানুষের সঙ্গে সুসর্ম্পক বজায় রেখে চলা এ রাজনীতিকের রয়েছে নেতৃত্বের চমৎকার দক্ষতা।
এ্যাড. শ্যামল কুমার দে বলেন অতীত এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তৃণমূল নেতাকর্মী তাকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে জনমত জরিপের ভিত্তিতে তার উপরে আস্থা রেখে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করবেন। তার বিশ্বাস তিনি নির্বাচনে বিজয় লাভ করে উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থার প্রতিদান দিতে পারবেন।

মাগুরা/ ৩ ফেব্রুয়ারী ১৯