বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী সভাপতি রেজাউল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। ঘটনার পর প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে পরে বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। তার এ আত্মহত্যার এ চেষ্টার জন্য মানসিক দুরাবস্থাকে দায়ী করেছে পরিবার।
রেজাউলের স্ত্রী মমতাজ মমো জানান, সম্প্রতি মটর সাইকেল দুর্ঘটনায় রেজাউল শারীরিক ও মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে প্রায় ১ মাস যাবৎ বাড়িতে অবস্থান করছিল। এরি মধ্যে মাগুরার এক স্কুল শিক্ষিকা রেজাউলের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের মিথ্যা অভেযোগে গত ২০ ফেব্রুয়ারী মাগুরা আদালতে মামলা করে। এ ঘটনায় সে মানসিকভাবে আরো ভেঙ্গে পড়ে ও বৃহস্পতিবার বাড়ির একটি কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
রেজাউলের স্ত্রী মমতাজ মমো বলেন,‘ ওই স্কুল শিক্ষিকা রেজাউলের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ আদায়ের জন্য বেশ কয়েক দিন যাবত মামলার ভয় দেখিয়ে আসছিল। যা না দেয়ায় সে মামলাটি করেছে।  রেজাউলের বিরুদ্ধে আনা ওই শিক্ষিকার অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। যার অনেক তথ্য প্রমান আমার কাছে আছে।’
এদিকে রেজাউলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট ওমর ফারুক জানান, বাদী ওই স্কুল শিক্ষিকা আদালতে অভিযোগ করেছেন একটি ব্যাংকে চাকুরি প্রার্থী হয়ে তিনি রেজাউল ইসলামের কাছে গেলে বিয়ের প্রলোভনে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে রেজাউল। কিন্তু পরবর্তিতে রেজাউল তাকে বিয়ে না করে অন্যত্র বিয়ে করে। যে কারনে প্রতারিত হয়ে সে  নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে ধর্ষন ও একাধিক অভিযোগে মামলা করেছেন। বিষয়টি এখন তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে গলায় ফাস জড়িয়ে আত্মহত্যার চেষ্টায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে দুপুর ১ টার পরপরই মাগুরা সদর হাসপাতালে আনা হয় রেজাউলকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাগুরা স্টেডিয়ামে ঢাকা থেকে আসা প্রাইভেট হেলিকপ্টারে ঢাকায় পাঠানো হয়।
রেজাউলের বিষয়ে মাগুরা সদর হাসপাতালের তত্ববধায়ক সুশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, তার অবস্থা শংকামুক্ত। তবু পরিবারের আগ্রহে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মাগুরা /২২ ফেব্রুয়ারী ১৮