বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
আশরাফুল ইসলাম মিলন (৩৫) কোরআনে হফেজ। কিন্তু নিজেকে মিলন চক্রবর্তী পরিচয় দিয়ে চার বছর আগে বিয়ে করেছেন এক হিন্দু মেয়েকে। বিয়ের পর থেকে সদর উপজেলা চেঙ্গারডাঙ্গা গ্রামে শ্বশুর বাড়ীতে অবস্থান করছেন। গলায় ব্রাক্ষ্মনের পৈতা পরে পুরোহিত সেজে মিলন ঠাকুর দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে পূজা-অর্চণা করে আসছেন । এ পর্যন্ত এক ডজনের উপরে হিন্দু বিয়েও পড়িয়েছেন তিনি। অবশেষে প্রতারণার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ডিবি পুলিশ আজ বুধবার সকালে তাকে আটক করেছে।

মাগুরা ডিবি পুলিশের এসআই মোঃ সালাহউদ্দিন জানান, ২০ পারা কোরঅনে হাফেজ আশরাফুল ইসলাম মিলন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কাঞ্চন নগর গ্রামের লুৎফর রহমানের পুত্র। সেখানে তার পূর্বের স্ত্রী ও একটি সন্তান রয়েছে। ভারতে যাতাযাতের সুত্র ধরেই মাগুরা সদরের চেঙ্গারডাঙ্গা গ্রামের বিকাশ বিশ্বাসের সাথে তার পরিচয় ও তাদের বাড়িতে যাতায়াত। পরে ২০১৩ সালে হিন্দু ব্রাক্ষ্মণ পারিচয়ে তার মেয়ে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী মিতা বিশ্বাসকে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করে সে এলাকায় পুরোহিতের পেশা বেছে নিয়েছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে এলাকায় নানা প্রতারণা ও দালালীর অভিযোগ রয়েছে। ক’দিন আগে সেনা বাহিনীতে চাকরী দেওয়ার নাম করে চয়ন বিশ্বাস নামে এক যুবকের কাছ থেকে ৬ লাক্ষ টাকা আত্মসাতের লিখিত আজ বুধবার ডিবি পুলিশ তাকে আটক করেছে। তার পাসপোর্ট উদ্ধার করে দেখা গেছে গত দুই, তিন বছরে সে ৫০ বার ভারতে গিয়েছে। তা ছাড়া ভারত ও বাংলাদেশে তার নামে একাধিক ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে। সে বড় কোন অপরাধী চক্রের সদস্য কিনা, কোন অপরাধ করে আত্মগোপনে রয়েছে বা কোন অপরাধ সংগঠনের জন্য এখানে অবস্থান তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আপাতত ক্যামেরার সামনে কথা বলতে না চাইলেও মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) সুদর্শন জানান, তদন্ত শেষে প্রয়োজনে পুলিশ সার্বিক বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের অবিহিত করবে।

রূপক আইচ/ মাগুরা/ ১ ফেব্রুয়ারী১৭