আনোয়ার হোসেন শাহীন, মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের মধমতি নদীর বিপরীত পাড়ে রুইজানি গ্রামে পাটকাঠি থেকে কার্বণ তৈরির কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা পৌনে পাঁচটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
রাত আটটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দমকলের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ হিসাব জানা না গেলেও ক্ষতির পরিমাণকোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানা গেছে।
পাটকাঠির গাঁদার পাশের একটি ঘরের গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত বলে জানা গেছে।

magura-fire-pic-02
কার্বণ তৈরীর কারখানায় আগুন- মাগুরাবার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কারখানার ব্যস্থাপক নজরুল ইসলাম জানান, মূল কারখানার ৩০-৪০ গজ দূরে ছাই মজুদের গোডাউন রয়েছে। গোডাউনের সাথে জেনারেটর ও গ্যাসের সিলিন্ডারের আরেকটি ঘর ছিল। ঘরের সাথে পর পর সাজানো ছিল প্রায় পঞ্চাশটি বিশাল আকারের পাটখড়িড় গাঁদা। সারাবছর উৎপাদন চালু রাখার জন্য কারখানার জমিতে পাটকাঠির মজুদ গড়ে তোলা হয়েছিল।
আজ সন্ধ্যা পৌনে পাঁচটারদিকে ঘরের সাথের একটি পাটকাঠির গাঁদায় আকস্মিক আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে পাশ্ববর্তী সবকয়টি পাটকাঠির গাঁদায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ আগুনের লেলিহান শিখা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে ।
আগুনে রপ্তানির জন্য রাখা প্রায় ৩ হাজার বস্তা ছাই (কার্বন), পঞ্চাশ বিঘা জমির উপর রাখা পাটকাঠি ও গুদামসহ দুইটি টিনের ঘন সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমান প্রায় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানা গেছে। তবে মূল কারখানার চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি ।
খবর পেয়ে ফরিদপুর,বোয়ালমারি ও আলফাডাঙ্গা থেকে দমকলের চারটি ইউনিট এসে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্ঠা করছে। আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত ১০ আহত হওয়ার খবর প্ওায়া গেছে।
ফরিদপুর ফায়ার সাভির্সের কর্মকর্তা সাইফুজ্জামান বলেন,‘আগুন ভয়াবহ অবস্থায় পৌছেছে। আমরা এখন চেষ্টা করছি আগুন যাতে লোকালয়ে ছড়িয়ে না পড়ে।’
উল্লেখ্য, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা থেকে উৎপাদিত পাটখড়ি থেকে তৈরি ছাই (কার্বন) চীনসহ কয়েকটি দেশে রপ্তানি করা হতো।
রূপক/শাহীন/মাগুরা/১০ডিসেম্বর১৬