মাগুরাবার্তা
সরবরাহ বাড়ায় মাগুরার বাজারে আসতে শুরু করেছে আগাম শীতকালীন সবজি। নানা ধরনের সবজিতে বাজার জমে উঠেছে। তবে মাগুরার নতুন বাজার কৃষকের হাট থেকে পুরাতন বাজার খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে সবজির মূল্যের ব্যাপক বৈষম্য দেখা দিয়েছে ।
শুক্রবার সকাল সাতটায় নতুন বাজার কৃষকের সরাসরি হাট ও সকাল আটটায় মাত্র এক ঘন্টায় ১ কিলোমিটারের ব্যবধানে দামের তারতম্য দেখা গেছে অনেক। সকাল সাতটায় সরাসরি কৃষকদের দ্বারা পরিচালিত নতুন বাজারের কৃষকের হাটে প্রতি কেজি পেপে বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। যা ঢাকার রোড পাইকারি বাজার ঘুরে পুরাতন বাজারের খুচরা সবজি দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৪০টাকা দরে। মধ্যসত্বভোগীদের কারণে একইভাবে নতুন বাজারের ৫০ টাকার ফুলকপি পুরাতন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। একইভাবে ২০ টাকার লাউ ৫০ টাকায়, ৪০ টাকার কুমড়ো ৫০ টাকায় , ৫০ টাকার করলা ৬০ টাকা, ২৫ টাকার পটল ৪৫, ১০ টাকার মুলা ২৫ টাকা, ৫০ টাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। একইভাবে শাপলা, লালশাক, সবুজশাক, পুইশাক সহ অন্যান্য বাজারও অস্থির হয়ে উঠেছে। তবে বাজার মূল্যের এমন তারতম্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারিভাবে বাজার মনিটরিং এর কোন কার্যক্রমই চোখে পড়েনি। ক্রেতা ও বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে – কৃষকের উৎপাদিত পণ্য ঢাকা রোড পাইকারি কাঁচাবাজার ঘুরে ছোট ছোট খুচরা বাজার গুলোতে গিয়ে মূল্য বেড়ে যায় অন্তত ৩০ থেকে ৪০%। এর ফলে ক্রেতারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকও তাদের ন্যায্য মূল্য থেকে হচ্ছেন বঞ্চিত।
এ ব্যাপারে মাগুরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মুন জানান – মাগুরায় উৎপাদিত ফসলের আটটি প্রজাতির যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারিভাবে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কৃষকদের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করায় কাজ করছে কৃষি বিপণন বিভাগ।
তবে সংস্থাটির প্রদত্ত তালিকা অনুযায়ী প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়ার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩২.৮২, চাল কুমড়া ৩২. ৫০, বেগুন ৪৬.৬৫, ঝিঙ্গা ৪০.০৫, চিচিঙ্গা ৪৩.৫৬, পটল ৪১.০৬, শশা ৪৩.২৬, কচুর মুখী ৪৪.৬৪, কাঁচা পেঁপে ৩৫.০১, ঢেঁড়স ৪২.৬৫ যা বাজারে কোথাও চোখে পড়েনি।