বিশেষ প্রতিনিধি, মাগুরাবার্ তা
সামাজিক দলাদলির নামে একের পর এক সৃষ্ট দাঙ্গায় সর্বশান্ত হচ্ছে মাগুরার গ্রামীণ জনপদের শতশত পরিবার। ক্ষতিগ্রস্থ এসব জনপদের একটি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের বেথুড়ি গ্রাম। জানা গেছে, স্থানীয় আওয়ামীলীগের দুনেতার রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের দন্দে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত এ এলাকার অধিবাসিরা দটি সামাজিক দলে বিভক্ত হয়ে আছে। এ বিভক্তি থেকে সৃস্ট একাধিক দাঙ্গায় গত ১৫ বছরে অন্তত ২৫টি গ্রাম্য কাইজা হয়েছে। এতে ওই এলাকার শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। লুটপাট অগ্নিসংযোগ আর হামলা মামলায় নিঃস্ব হয়েছে অন্তত বিশটি পরিবার। অনেকেই বরণ করেছেন পঙ্গুত্বের জীবন। পরস্পর বিরোধী মামলায় জড়িয়ে আর্থিক ও পেশাগত জীবনে এখনও চরম মূল্য দিচ্ছে ওই পরিবারগুলি। এসব পরিবারের অধিকাংশই পেশায় কৃষক ও অত্যন্ত সহজ সরল প্রকৃতির। এমন এক কৃষক ইদ্রিস মোল্যার ৯ম শ্রেণীতে পড়া ছেলে আকিদুল ইসলাম জিহাদকে সোমবার সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষরা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর যখম করে। জিহাদ এখন মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে চিকিৎসাধিন। একইভাবে গত ১১ আগস্ট ওই গ্রামের বুলু মোল্যার ছেলে তপন মোল্যাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর যখম করে এলাকার প্রতিপক্ষ সাবেক ইউপি সদস্য আহাদুজ্জামান এর ছেলেরা। ওই ঘটনায় মহম্মদপুর থানায় মামলা হলেও এখনও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায়ই আবারও একই গ্রæপ কিশোর জিহাদকে পিটিয়ে যখম করলো বলে অভিযোগ করেন তপন মোল্যার বাবা বুলু মোল্যা। জানা গেছে ওই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা আলাউদ্দিনের ছত্রছায়ায় সাবেক ইউপি সদস্য আহাদুজ্জামান ও অপর আওয়ামীলীগ নেতা রেজাউল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে দুগ্রæপ দীর্ঘদিন ধরে দুভাগে বিভক্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে এ গ্রামে হামলা মামলার ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। যে অবস্থা থেকে উত্তোরণ চায় এলাকাবাসি।
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারক বিশ্বাস জানান- এ গ্রামগুলিতে দাঙ্গা হাঙ্গামা কমাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশের ভূমিকা জিরো টলারেন্স।