স্টাফ রিপোর্টার
মাগুরাবার্তা ২৪.কম
স্ত্রীর পরকীয়ার কারণেই খুন হতে হয়েছেন শালিখা উপজেলার রামপুর গ্রামের বাবুল শেখকে (২৮)। কিন্তু আসামীরা অর্থশালী ও প্রভাবশালী হওয়ায় এটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
মাগুরা আইনজীবী ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন নিহতের বাবা ইয়াদ আলী।
আজ বুধবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, তার ছেলে বাবুল শেখ ৬ বছর আগে মালয়েশিয়ায় যায়। বিদেশে থাকা কালিন সে স্ত্রী লাবনীর ব্যাংক হিসাব নম্বরে ১০ লাখ টাকা পাঠায়। এই টাকা দিয়ে বাবুলের স্ত্রী লাবনী খাতুন বিলাসী জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। পাশাপাশি একই এলাকার আব্দুল লতিফের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে স্বামীর ঘর ছাড়ে। বিষয়টি নিয়ে নিহতের পিতা ইয়াদ আলী সালিশ ডাকেন ও তার পুত্র বাবুল শেখ মালয়েশিয়া থেকে গ্রামে ফিরে আসে। সালিশী বৈঠকে লাবনী তার দোষ স্বীকার করে ও তার কাছে থাকা বাবুলের অর্থ স্বর্ণালংকার ফেরত দেবার অঙ্গীকার করে। এই সালিশ বৈঠকের পর একইদিন গত ২ ডিসেম্বর রাতে বাবুলকে রাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় লাবনীর বাবা মশিয়ার রহমান, লাবনীর প্রেমিক লতিফ ও অন্যরা। পরে সে আর বাড়িতে ফিরে আসে নি। পরদিন ৩ ডিসেম্বর সকালে বাড়ির পাশে একটি নিম গাছে বাবুলের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। তার শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহৃ ছিল। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করেছে। এছাড়া এ বিষয়ে ইয়াদ আলী আদালতে অভিযুক্তদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু আসামীরা এখনো ধরা পড়েনি। বরং মামলা তুলে নিত অব্যাহতভাবে হুমকি দিচ্ছে ।
ইয়াদ আলী দাবি করেন, সালিশী বৈঠকে ধার্য অর্থ না দেবার অসৎ উদ্দেশে আসামীরা বাবুলকে হত্যা করেছে। এছাড়া আসামীরা অর্থশালী হওয়ায় পুলিশ নিস্ক্রিয় রয়েছে। এছাড়া মামলা অন্যখাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার দাবি করেন।